হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে কোনও দলই একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ভোটের পর জেজেপির ১০ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন মনোহরলাল খট্টর। তবে এবার সমস্ত জল্পনাকে সত্যি করে ঠিক লোকসভা নির্বাচনের মুখে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। আসন্ন ভোটে হরিয়ানাতে আসন বণ্টন নিয়ে বিজেপি এবং জেজেপির মধ্যে বিবাদ চরমে উঠেছিল। সূত্রের খবর, সেই বিবাদের জেরেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন খট্টর।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আসন বণ্টন নিয়ে জেজেপি নেতা তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালার দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। আর তার জেরেই মনোহরলালের সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন দুষ্মন্ত। সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার সকালে নিজের দলের বিধায়কদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। শোনা যাচ্ছিল, সেই বৈঠকের পরেই পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করবে জেজেপি। এ হেন পরিস্থিতিতে খট্টরের ইস্তফা দেওয়া রাজ্য রাজনীতিতে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
অন্য দিকে, মঙ্গলবারই বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে নিজের বাসভবনে বৈঠক করেছেন খট্টর। সেই বৈঠকের পরই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। শুধু একা তিনি নন, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও ইস্তফা দেবেন বলেই খবর। সেই কারণেই বৈঠক শেষে ইস্তফাপত্র জমা দিতে রাজ্যের মন্ত্রীরা রাজভবনে যাচ্ছেন। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতেই নিজেদের ইস্তফাপত্র তুলে দেবেন তাঁরা। এদিকে, খট্টর ইস্তফা দিতেই হরিয়ানাতে বিজেপি সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে ঘোর সংশয় দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মঙ্গলবারই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।