নরেন্দ্রপুর থানা ভেঙে ২টি নতুন থানা— খেয়াদহ এবং আটঘরা তৈরি করছে রাজ্য। যা চলে আসছে ভাঙড় ডিভিশনের অধীনে। এবার খেয়াদহ এবং আটঘরা থানার জন্য রাজ্য সরকার নতুন ৩১৪টি পদের অনুমোদন দিয়ে দিল।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ শহরতলি এলাকার অন্যতম জনবহুল এলাকা হিসাবে গত কয়েক দশকে উঠে এসেছে নরেন্দ্রপুরের নাম। আগে যে এলাকার পরিচিতি ছিল রামকৃষ্ণ মিশনের আবাসিক স্কুলের জন্য, এখন সেই এলাকাই ক্রমাগত জনবহুল হয়ে পড়ছে একের পর এক আবাসন ও বহুতল মাথা তোলায়। লোকসংখ্যা বাড়ায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরাধও। আর তাই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর পুলিশ জেলার অধীনে থাকা নরেন্দ্রপুর থানাকে ভেঙে নতুন আরও ২টি থানা তৈরি করা হবে। নরেন্দ্রপুর থানা আগের মতোই বারুইপুর পুলিশ জেলাতেই থাকবে। তবে এই থানা ভেঙে নতুন করে তৈরি হতে চলা খেয়াদহ এবং আটঘরা নামের দুটি থানা কলকাতা পুলিশের অধীনে থাকবে। সেই হিসাবে বারুইপুর পুলিশ জেলার আকার কিছুটা কমলেও থানার সংখ্যা একই থাকছে।
খেয়াদহ এবং আটঘরা থানার জন্য ১৫৭টি করতে মোট ৩১৪টি পদের অনুমোদন দিয়েছে নবান্ন। সেই মর্মে প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞপ্তিও। সেই বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হয়েছে নতুন দুটি থানার জন্য ২জন করে মোট ৪জন ইন্সপেক্টর, ১০ জন করে মোট ২০জন সাব ইন্সপেক্টর, ৪জন করে মোট ৮জন লেডি সাব ইন্সপেক্টর, ২জন করে মোট ৪জন সার্জেন্ট, ১২জন করে মোট ২৪জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর, ৩জন করে মোট ৬জন লেডি অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর, ৮০জন করে মোট ১৬০জন কন্সটেবল, ৩০জন করে মোট ৬০জন লেডি কন্সটেবল, ১২জন করে মোট ২৪ জন ড্রাইভার, ১জন করে মোট ২ জন ইউডিএ এবং সমসংখ্যক এলডিএ নিয়োগ করা হবে। সব মিলিয়ে ৩১৪জন নিয়োগ হতে চলেছেন এই দুটি থানায়। বিজ্ঞপ্তিতে এটাও বলা হয়েছে, যে ২৪জন ড্রাইভার নেওয়া হবে তাঁদের চুক্তির ভিত্তিতে নেওয়া হবে এবং তাঁদের মাসিক বেতন হবে ১৩৫০০ টাকা করে।