অযোধ্যার জমি বিতর্কের অবসান ঘটেছে। ২০১৯ সালে এক ঐতিহাসিক রায়ে জমিটির মালিকানা রামলালাকে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠাও হয়ে গিয়েছে। আদালতে বিচার চলছে জ্ঞানব্যাপী মসজিদ চত্বর এবং মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির চত্বর নিয়ে বিতর্কের।
এরই মধ্যে সোমবার আরও এক বিতর্কিত ধর্মীয়স্থানে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অনুমতি দিল মধ্য প্রদেশ হাইকোর্ট। সমীক্ষা চালাবে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষা বা এএসআই। ধার জেলার ভোজশালায় রয়েছে এক বিতর্কিত সৌধ। হিন্দুদের একাংশের বিশ্বাস সৌধটি আসলে বাকদেবী বা সরস্বতীর মন্দির। অন্যদিকে, মুসলিমদের একাংশের দাবি ওই সৌধ হল কমল মওলা মসজিদ।
এই মন্দির-মসজিদ বিতর্কের প্রেক্ষিতেই ১৯ ফেব্রুয়ারি, ভোজশালা সৌধ চত্বরের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চেয়েছিল ‘হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিস’ নামে এক হিন্দু সংগঠন। হাইকোর্টে তারা আবেদন করেছিল, এএসআই এলাকাটির বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করে বলুক, সৌধটি হিন্দু মন্দির না মসজিদ। সৌধটির দেখভালের দায়িত্ব আপাতত রয়েছে এএসআই-এর হাতেই। হাইকোর্টে এএসআই জানিয়েছে, ১৯০২ এবং ১৯০৩ সালে শেষবার, ভোজশালা চত্বরের অবস্থার মূল্যায়ন করা হয়েছিল। ওি প্রাঙ্গনের বৈজ্ঞানিক তদন্তের জন্য বর্তমান আবেদনে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে, মুসলিম পক্ষ হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিসে আবেদনটির বিরোধিতা করেছিল। হিন্দু সংগঠনটি এই আবেদন করেছে এএসআই-এরই এক পুরোনো আদেশের প্রেক্ষিতে।