দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদী সরকার। অবশেষে বিল থেকে আইনে পরিণত হওয়ার প্রায় সাড়ে চার বছর পরে সোমবার দেশে সিএএ জারি করার কথা জানিয়েছে তারা। লোকসভা ভোটের মুখে সিএএ চালু করে গেরুয়া শিবির বাংলার মতুয়া এবং উদ্বাস্তু ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব খাটাতে চাইছে বলেই মনে করছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে তারা কর্মসূচি নিল বাংলার সমস্ত তফসিলি জাতি এবং উপজাতির মানুষের কাছাকাছি পৌঁছনোর এবং সিএএ নিয়ে তাঁদের ভুল ভাঙানোর।
জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ মার্চ থেকে ‘তফসিলির সংলাপ’ নামে একটি প্রচারাভিযান শুরু করতে চলেছে তৃণমূল। সেই অভিযান ঘিরে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে দলের, মঙ্গলবার দুপুরে একটি বিশেষ বৈঠকে তা জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূলের সভাপতি। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের সমস্ত তফসিলি জাতি এবং জনজাতি শ্রেণিভুক্ত তৃণমূল নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা। প্রায় সাড়ে তিন হাজার তফসিলি জাতি এবং জনজাতি নেতা-নেত্রীকে তাঁদের আগামী দিনের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক।
নজরুল মঞ্চে ডাকা অভিষেকের ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী ১৫ মার্চ থেকে রাজ্য জুড়ে দেড়শোটি বিশেষ বার্তাবাহী প্রচার গাড়িতে ছ’হাজারেরও বেশি তফসিলি জাতি এবং জনজাতি অধ্যুষিত এলাকা পরিদর্শন করবেন দলের তফসিলি নেতা-নেত্রীরা। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের একটি বিশেষ বই বিতরণ করবেন তাঁরা। যেখানে বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করা থাকবে, তফসিলি জাতি এবং জনজাতির মানুষের প্রতি বিজেপির নেতিবাচক দিকগুলি কী কী। তার পাশাপাশিই তুলনা করা হবে বাংলায় তৃণমূল কী ভাবে এই সম্প্রদায়ের মানুষজনকে রক্ষা করে চলেছে। প্রতিটি এলাকায় অন্তত ৩৫টি ‘হটস্পট’ তৈরি করে সেখানে আলোচনা সভার আয়োজন করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে।