‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়মে’ প্রথমেই বিজেপি’কে কয়েক গোল দিয়ে দিল তৃণমূল! কীভাবে? ব্রিগেড থেকে ঘোষিত প্রার্থীতালিকায়: কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্র, বারাসতে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, জয়নগরে প্রতিমা মণ্ডল, যাদবপুরে সায়নী ঘোষ, কলকাতা দক্ষিণে মালা রায়, উলুবেড়িয়ায় সাজদা আহমেদ, হুগলিতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, আরামবাগে মিতালি বাগ, মেদিনীপুরে জুন মালিয়া, বিষ্ণুপুরে সুজাতা মণ্ডল খাঁ, বর্ধমান পূর্বে ড. শর্মিলা সরকার এবং বীরভূমে শতাব্দী রায়। ১২টি নাম। ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১২টিতেই মহিলা প্রার্থী। অঙ্ক বলছে, শতাংশের হিসেবে তা প্রায় ২৯!
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, এবারের আসন্ন লোকসভা ভোটে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে প্রথমেই বড় মাপের একটা চমকটা দিতে পারল শাসকদল। যেখানে বিজেপির ক্ষেত্রে অঙ্কটা মাত্রই ১৪ শতাংশ। সারা দেশে যেকটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের শাসকদল, তার নিরিখে এখনও পর্যন্ত ১৪ শতাংশ আসনেই মেয়েরা লড়ছেন বিজেপির পতাকায়। এই মুহূর্তে তৃণমূলে সেটি দ্বিগুণের চেয়েও বেশি! লক্ষ্যের অনেকটা কাছাকাছি। কেননা, লোকসভা এবং বিধানসভায় মহিলা প্রতিনিধিদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের দাবি এ দেশে দীর্ঘদিনের।
মহিলা সংরক্ষণ বিল বহুকাল আগেই মহিলাদের জন্য লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করার প্রস্তাব করেছিল। কয়েক মাস আগে সেই বিলটিই পাশ করাল মোদী সরকার। মোদী সরকার মহিলা সংরক্ষণ বিলের নতুন নামকরণও করেছে ‘নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম’।
মোদী সরকারের আমলে পাশ হওয়া বিলটি কার্যকর করা হবে কবে থেকে? লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, বিলটি কার্যকর করা হবে ২০২৯ সালের পরেই! কেন ২০২৯ সালের পরে?সেই নিয়েই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।