বিরোধীরা আগেই এই অভিযোগ করেছিল, যে মোদী সরকারের নির্দেশেই স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া লোকসভা ভোটের আগে বন্ডের তথ্য প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না। কারণ, তা হলে খোলসা হয়ে যাবে বিজেপি কোন শিল্পপতির চাঁদার জোরে ভোটে লড়ছে। এবার নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্যপ্রকাশে এসবিআইয়ের অতিরিক্ত সময় চাওয়ার আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১২ মার্চের মধ্যেই নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, ১৫ মার্চ বিকেল ৫ টার মধ্যে নিজেদের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত নথি প্রকাশ্যে আনবে নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এবং নির্দেশ দেওয়া হয়, ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য দেবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। এরপর সেই তথ্য জনসমক্ষে আনবে কমিশন। তবে নির্ধারিত সময়সীমার মাত্র ২ দিন আগে ৪ মার্চ শীর্ষ আদালতে এসবিআই জানায়, ওই সময়সীমার মধ্যে বন্ডের তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। ওই তথ্য জমা দিতে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় লাগবে। সোমবার সেই মামলায় এসবিআই-এর আর্জি শোনে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
এই মামলায় এসবিআইকে শীর্ষ আদালত প্রশ্ন করে, ২৬ দিন ধরে কী করছিলেন? কেন বন্ধ নথি খোলা হয়নি? আদালত জানায়, ‘শুধুমাত্র একটি সিলড কভার খুলতে হত এসবিআইকে। তা সংগ্রহ করতে হত এবং তা নির্বাচন কমিশনকে জমা দিতে হত।’ সেটা না করে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চাওয়ার জন্য এসবিআইকে ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, ১২ মার্চের মধ্যে কমিশনকে সমস্ত নথি তুলে দেওয়ার জন্য। এবং ১৫ মার্চ বিকেল ৫ টার মধ্যে এই নথি কমিশনকে প্রকাশ করতে হবে সেটাও জানিয়ে দেয় আদালত। স্বাভাবিক ভাবেই সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে বেশ চাপে স্টেট ব্যাঙ্ক।