প্রাক-নির্বাচনী আবহে ফের বিতর্কের সূত্রপাত হল রাজনৈতিক মহলে। শনিবার হঠাৎই ইস্তফা দিলেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল, তিন বছর চাকরির মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও তাঁর আচমকা ইস্তফার কারণ ঘিরে ছড়িয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক কারবারিরা বলছেন, ভোট ঘোষণার আগে বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন গোয়েল। ভোটের নির্ঘণ্ট এবং বাংলায় মোট ক’দফায় ভোটগ্রহণ করা হবে, তা নিয়েও কমিশনের সঙ্গে মতবিরোধ হয় গোয়েলের। বাংলায় নজিরবিহীনভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিরুদ্ধে কমিশনের অন্দরে সরব হয়েছিলেন গোয়েল।
প্রসঙ্গত, বিরোধীদের দাবিকে মান্যতা দেওয়ার কথা ভাবছে কমিশন। এ’সব সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি গোয়েল। তারপরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, মোট তিন জন নির্বাচন কমিশনার থাকেন কমিশনে। গত ফেব্রুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হয়েছিল কমিশনার অনুপচন্দ্র পান্ডের। এবার অরুণ গোয়েল পদ ছাড়লেন, কমিশনে এখন শূন্য পদের সংখ্যা দাঁড়াল দুই। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্যানেলে শুধুমাত্র মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার থাকলেন। আগামী সপ্তাহে ভোট ঘোষণা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। গোয়েলের পদত্যাগে ভোট পিছিয়ে যাবে কি না, সে সংশয় শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।