রাজ্যের ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেটেই এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আগামী এপ্রিল মাস থেকে শুধুমাত্র লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য বছরে রাজ্য সরকারের খরচ হতে চলেছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। আর সেই টাকা সরাসরি চলে আসছে বাংলারই বাজারে। আর তার ফলে চাঙ্গা হবে তা। প্রসঙ্গত, এখন সাধারণ ঘরের মহিলারা পান মাসে ৫০০ টাকা করে বছরে ৬০০০ টাকা। সেটাই এপ্রিল মাস থেকে বেড়ে হতে চলেছে মাসে ১০০০ টাকা করে বছরে ১২০০০ টাকা। তপশিলী জাতি ও উপজাতির মহিলারা এখন পান মাসে ১০০০ টাকা করে বছরে ১২০০০টাকা। সেটাই এপ্রিল মাস থেকে বেড়ে মাসে ১২০০ টাকা করে বছরে ১৪৪০০ টাকা হতে চলেছে। এখন রাজ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডারে উপভোক্তার সংখ্যা ২ কোটিরও বেশি।
এপ্রিল মাস থেকে বর্ধিত হারে টাকা প্রদানের বিজ্ঞপ্তিও ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। আর এই এপ্রিল মাস থেকেই বছরে লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হতে চলেছে ২৬ হাজার কোটি টাকা। এখানেই শেষ নয়, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য রাজ্য বাজেটে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা ধার্য হয়েছে রাজ্যের মহিলাদের উন্নয়নের জন্য। লক্ষ্মীর ভান্ডারের পাশাপাশি কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, জয় জোহর প্রভৃতির মাধ্যমে সেই টাকা খরচ করা হবে সারা বছর ধরে। অর্থনীতিবিদদের দাবি, লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতোই এই ১ লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি বাংলার বাজারেই চলে আসবে। সেখান থেকে কর হিসাবে কিছুটা ফিরবে নবান্নের কোষাগারেও।