আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে জনগর্জন সভা ডেকেছে তৃণমূল। ওইদিন ব্রিগেড থেকে বাংলার জনগর্জনের আওয়াজ পৌঁছে যাবে দিল্লির দরবার পর্যন্ত। তার প্রস্তুতিও ইতিমধ্যেই প্রায় সারা। এবার একেবারে নতুন রূপে ব্রিগেডকে দেখা যাবে। যা নিয়ে উত্তেজনার পারদও চড়ছে।
প্রসঙ্গত, এবার তৃণমূলের ব্রিগেড সেজে উঠছে জোড়া ফুলের আদলে। থাকছে তিনটি মঞ্চ। ভিক্টোরিয়ার দিকে থাকছে একটি মঞ্চ। সেই মূল মঞ্চের সমান্তরালে থাকছে আরও দুটি মঞ্চ। মঞ্চ লাগোয়া তৈরি হয়েছে বিশাল র্যাম্প। র্যাম্পটিই তৈরি হয়েছে জোড়াফুলের আদলে। ওই ৩০০ ফুট লম্বা র্যাম্প ধরে সোজা জনতার মাঝে চলে আসবেন বক্তারা। জনসংযোগকে আরও নিবিড় করতে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়ায় আহ্বান জানিয়েছে, আমাদের সঙ্গে যোগ দিন। এমন এক ধরনের অভিজ্ঞতা লাভ করুন, যা আগে কখনও দেখেননি। এই সমাবেশে এসে আগের থেকে আরও জোরে গর্জন করুন।
এবার জনগর্জনের ব্রিগেড পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে বলেই বিশ্বাস রাজ্যের শাসক দলের। সেইমতোই প্রস্তুতি প্রায় সারা। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি ঘুরে দেখে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামেও কর্মী-সমর্থকদের থাকার জায়গাও পরিদর্শন করেন। জানা গিয়েছে, তিনটি মঞ্চ মিলিয়ে থাকবেন প্রায় ৬০০ নেতা-নেত্রী। র্যাম্প-সহযোগে মঞ্চ এমনভাবেই তৈরি যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়— সকলকেই কাছ থেকে দেখতে পাবেন ব্রিগেডের জনতা। শুধু বাংলা নয়, এবার ভিন রাজ্য থেকেও আসছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। সব মিলিয়ে জনগর্জন সভাকে নিয়ে উন্মাদনা পৌঁছে গিয়েছে চূড়ান্ত পর্যায়ে।