নতুন বছরের শুরুতেই উদ্বোধন হয়েছে অযোধ্যার রামমন্দিরের। আর রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার সেই অনুষ্ঠানের প্রধান মুখই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার ফলে তারপর থেকেই আরও জোরালো হয়েছে বিজেপির হিন্দুত্বের হাওয়া। এই ইস্যুকেই লোকসভা নির্বাচনে প্রধান অস্ত্র করতে চাইছে পদ্ম শিবির। আর তার মোকাবিলায় কংগ্রেস যে জাতিগত জনগণনাকে ইস্যু করে এগোতে চাইছে, তা আবারও পরিষ্কার হয়ে গেল শুক্রবার। গতকাল সন্ধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময়ও হাত শিবিরের মুখে শোনা গেল জাতিগত জনগণনার কথা। তারা ক্ষমতায় এলে যে জাতগণনা হবেই তা জানিয়ে দেওয়া হল। এমএসপির আইনি গ্যারান্টি ও যুব ন্যায়ের মতো প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি এই বিষয়েও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
গতকালের ঘোষিত তালিকায় যে ৩৯ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২৪ জন তপসিলি জাতি, উপজাতি ও ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত। বাকিরা জেনারেল। এই হিসেবও কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সাম্প্রতিক কালে রাহুল গান্ধীর মুখেও জাতগণনার প্রতিশ্রুতির দিকটাই উঠে এসেছে। বারবার তিনি দাবি করেছেন, দল ক্ষমতায় এলে অবশ্যই দেশজুড়ে জাতিগত জনগণনা হবে। কেবল তাই নয়, নীতীশ কুমার ইন্ডিয়া জোট ছাড়ার কারণও এই জাতগণনাই এমন খোঁচাও মারতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এদিকে এই মুহূর্তের এক জ্বলন্ত ইস্যু কৃষক বিক্ষোভ। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি স্বীকৃতির দাবিতে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আর সে কথা মাথায় রেখে এমএসপির ওপরেও জোর দিয়েছে কংগ্রেস।