সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে এক বিরূপ মন্তব্যের স্ট্যাটাসের দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের কোলাপুর কলেজে কর্মরত কাশ্মীরি অধ্যাপক জাভেদ আহমেদ হাজাম। ৫ অগস্ট তারিখটিকে ‘জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য কালা দিবস’ বলেছিলেন তিনি। পাশাপাশি, ১৪ অগস্ট পাকিস্তানকে তাদের স্বাধীনতা দিবসের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। আর এই ‘অপরাধেই’ ওই কাশ্মীরি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতেই এবার পুলিশ তথা সরকারকে তুলোধনা করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, সংবিধান দেশের নাগরিকদের যে বাকস্বাধীনতা দিয়েছে, সেই সম্পর্কে পুলিশকে সংবেদনশীল হতে হবে। পুলিশকে শিক্ষিত করতে হবে। বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা কাকে বলে, তা শেখাতে হবে পুলিশকে। সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা মানেই অপরাধ নয়, তা বোঝাতে হবে পুলিশকে। পুলিশ যদি এমনটা মনে করে, তাহলে আর গণতন্ত্র টিকবে না।
বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জল ভূঁইয়ার বেঞ্চ বলেছে, ‘ভারতের সংবিধানের ১৯(১)(ক)অনুচ্ছেদে, বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কাজেই, প্রত্যেক নাগরিকের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের বা সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করার অধিকার রয়েছে। তাঁর বলার অধিকার রয়েছে যে তিনি সরকারের কোনও সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট। সময় এসেছে, সংবিধানের ১৯(১)(ক) অনুচ্ছেদে যে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার দেওয়া হয়েছে এবং সেই অধিকারের যে যুক্তিসঙ্গত সীমা টানা হয়েছে, সেই সম্পর্কে আমাদের পুলিশ যন্ত্রকে শিক্ষিত করার। আমাদের সংবিধানে যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কথা বলা হয়েছে, সেই সম্পর্কে তাদের সংবেদনশীল হওয়া উচিত।’ আদালত জানিয়েছে, ৫ অগস্ট দিনটিকে ‘কালা দিবস’ বলা, ‘বিক্ষোভ ও বেদনার বহিঃপ্রকাশ’। পাকিস্তানের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানানো একটা ভাল কাজ।
