সবজির দাম বাড়ার জন্য মিঞা মুসলিম সম্প্রদায়কে দায়ী করেছিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। বলেছিলেন, অসমীয়া বিক্রেতারা যদি শাকসবজি বিক্রি করেন তাহলে তারা কখনই তাদের আসামের লোকদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিতেন না। একইসঙ্গে অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট
(এআইউডিএফ) প্রধান তথা সাংসদ বদরুদ্দিন আজমলকে নিশানা করে তিনি বলেছিলেন, ঝাড়ফুঁক অনুশীলন করার জন্য বদরুদ্দিন আজমলকে গ্রেফতার করা উচিত। এবার তাঁকে পালটা দিলেন বদরুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেছেন যে তিনি ৩ দিনের মধ্যে মিঞা মুসলিমদের গুয়াহাটি থেকে সরিয়ে দেবেন। কিন্তু, আমি বলতে চাই ৩ বছর বা ৩০০ বছরেও মিঞা মুসলমানদের সরানো সহজ নয়।’ বদরুদ্দিনের এই মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আসামের রাজনীতিতে। একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বদরুদ্দিন আরও বলেন, ‘মিঞারা না থাকলে মানুষ ৩ বেলা খাবার পেত না। রাজ্যে খুব কমই কোনও নির্মাণকাজ সম্ভব হতো। মানুষ বরপেটা থেকে সবজি ও আলু নিয়ে আসে। এই মানুষগুলি দিনরাত পরিশ্রম করে।’ বদরুদ্দিনের বক্তব্য, তারা জীবিকা নির্বাহের জন্য চুরি করে না। পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করে। বর্তমান অসম সরকার তাদের জন্য কিছুই করেনি।
