বিরোধীরা আগেই এই অভিযোগ করেছিল, যে মোদী সরকারের নির্দেশেই স্টেট ব্যাঙ্ক লোকসভা ভোটের আগে বন্ডের তথ্য প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না। কারণ, তা হলে খোলসা হয়ে যাবে বিজেপি কোন শিল্পপতির চাঁদার জোরে ভোটে লড়ছে। এবার তথ্যের অধিকার ও স্বচ্ছতার পক্ষে আন্দোলনকারীরা প্রশ্ন তুললেন, কে কত টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছেন, কবে কত টাকার বন্ড ভাঙানো হয়েছে, সে সব নথি মুম্বইয়ে স্টেট ব্যাঙ্কের প্রধান শাখায় আলাদা আলাদা মুখবন্ধ খামে থাকা সত্ত্বেও তথ্য জানাতে স্টেট ব্যাঙ্ক গড়িমসি করছে কেন?
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আজকের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে যাবতীয় তথ্য দেওয়ার কথা ছিল স্টেট ব্যাঙ্কের। কিন্তু দু’দিন আগে স্টেট ব্যাঙ্ক সুপ্রিম কোর্টে বলেছিল, তা করতে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় লাগবে। স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে কেউ সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানাননি। স্টেট ব্যাঙ্ক সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে, তাদের আর্জিতে সুপ্রিম কোর্টেরই নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছে কি না, তা স্পষ্ট হয়নি। তথ্যের অধিকার কর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজের বক্তব্য, স্টেট ব্যাঙ্ক কোর্টে জানিয়েছে, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কারা চাঁদা দিয়েছে ও কাদের অ্যাকাউন্টে তা জমা পড়েছে, সেই তথ্য মুম্বইয়ের প্রধান শাখায় রয়েছে। তবু কেন ব্যাঙ্ক চার মাস সময় চাইছে?