প্রার্থী কে? সেই ধন্দে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের গেরুয়া শিবিরে ভোট নিয়ে তেমন কোনও উত্তেজনা নেই। এমনকি কর্মসূচিও। ঘরোয়া জল্পনায় নেতা-কর্মীদের কাটছে দিন। এদিকে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম নিয়ে চাপানউতোর তুঙ্গে।
নতুন মুখ চেয়ে একদুটো নাম নয়। জলপাইগুড়ি জেলার পুরনো বিজেপি নেতা-কর্মী মহল থেকে দিল্লিতে পৌঁছেছে অন্তত দশজনের নাম এবং তাঁদের ‘বায়োডাটা’। নাম পাঠানোর সঙ্গে তারা লিখিতভাবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আর্জি রেখেছেন ‘যাকেই প্রার্থী করুন না কেন তিনি যেন দলের নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে চলাফেরার দক্ষতা রাখেন।’ বর্তমান সাংসদ জয়ন্ত রায়কে ‘ভালো’ মানুষের সার্টিফিকেট দিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘দলের যে কর্মীরা মুখে রক্ত তুলে তাকে জিতিয়েছেন পরে তাদের তিনি এড়িয়ে চলেছেন। দেখা হলেও কথা বলতেন না। এই ধরনের ভালো মানুষ দিয়ে কী লাভ!’
বিজেপির মজদুর মোর্চার মালবাজার এলাকার নেতা পঙ্কজ তিওয়ারি বলেন, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আমরা যারা তাঁকে জিতিয়ে এনেছি তিনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। নতুন লোকজন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন। ওই কারণে দল দুর্বল হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলের পুরনো কর্মীদের এই ধরনের মতামত পেয়েই সম্ভবত শনিবার প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এই আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। এই মুহূর্তে তারা যদি দলের ‘নব্য’ এবং ‘আদি’ দু’পক্ষের গ্রহণযোগ্য প্রার্থীর খোঁজ করে থাকেন সেটাও আশ্চর্যের কিছু হবে না।