আর বেশি দেরি নেই। কিছুদিন পরেই দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সরগরম রাজনীতির আবহ। শেষ লগ্নের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। লোকসভা ভোটের আগে বাংলার শাসকদল তৃণমূলের অন্যতম হাতিয়ার মোদী সরকারের ক্রমাগত বঞ্চনা। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার বকেয়া টাকা কেন্দ্রের কাছ থেকে আদায়ের জন্য লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। দিল্লী, কলকাতায় একাধিক ধরনার পর এবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘জনগর্জন সভা’র ডাক তৃণমূলের। আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেড ময়দানের এই সভায় যোগ দিতে সোশাল মিডিয়ায় এক ভিডিও বার্তায় সকলকে আহ্বান জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ভিডিও বার্তায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আরও একবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, শোষণের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। তাঁর অভিযোগ, “বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট করা হচ্ছে। আমরা ভেদাভেদ করিনা। বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত মানি না। বাংলা চক্রান্তের বিরুদ্ধে।”
উল্লেখ্য, উক্ত চক্রান্তের বিরোধিতাতেই ‘জনগর্জন সভা’র আহ্বান। তাই ওই সভায় সকলকে যোগদানের আহ্বান মমতার। বলে রাখা ভালো, সোশাল মিডিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জনগর্জন সভা’র কথা ঘোষণা করেন। এই সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও প্রধান বক্তা হিসেবে থাকার কথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বক্তব্য রাখবেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারাও। এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগেও ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল তৃণমূল-সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলি। কলকাতার ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’র মেগা সভায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তিন বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী, আপের অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কর্ণাটকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী, অন্ধ্রের টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু। সেখানে মোদীর বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছিলেন সবাই।