বারবারই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথীতে কোনও রকম কারচুপি করলে বা সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যেমন কথা তেমন কাজ। এবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অনিয়ম ঠেকাতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিতে চলেছে তাঁর সরকার। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড সঠিকভাবে ব্য়বহার করা হচ্ছে কি না, তার ওপর এবার থেকে নজরদারি চালানোর জন্য অত্যাধুনিক এই এআই প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে কোনও হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র রোগীর ভুয়ো রিপোর্ট ও জাল কাগজপত্র তৈরি করলে তা তৎক্ষণাৎ হাতে নাতে ধরা পড়বে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের একাধিক অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা গেছে, রোগী হয়তো সামান্য শরীর খারাপ নিয়ে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন, অথচ কার্ডে দেখানো হয়েছে একাধিক রোগের চিকিৎসার দরুন তাঁর জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। একইভাবে রোগী ছুটি হয়ে যাওয়ার পরও খাতায় কলমে অনেকসময় অতিরিক্ত আরও কদিন ভর্তি দেখানো হয়। অনেকসময় ফটোশপের সাহায্য ভুয়ে রিপোর্ট তৈরির অভিযোগও ওঠে। এসব ক্ষেত্রে সহজেই কারচুপি ধরে ফেলবে নয়া প্রযুক্তি। সিনিয়র চিকিৎসকের নাম লিখে তাঁর ফি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসককে দিয়ে রোগীকে দেখানোর অভিযোগও রয়েছে। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতির বদল আনতে নয়া অ্যাপের সাহায্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অপারেশন করা সাড়ে সাত হাজার চিকিৎসকের ওপর নজরদারি রাখতে নতুন একটি অ্যাপ চালু করা হচ্ছে। কে, কবে কোন রোগীর অপারেশন করলেন বা করবেন, তার বিস্তারিত তথ্য এই অ্যাপে তুলতে হবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে।
