দিন পনেরো আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় যে রাজ্যগুলির আসন ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিল, তাতে এক নম্বরে ছিল মহারাষ্ট্র। কিন্তু শনিবার পদ্ম শিবির যে ১৯৫ জনের নামের তালিকা ঘোষণা করেছে, তাতে মহারাষ্ট্রের নাম না থাকায় জল্পনা চলছিলই। ক্রমে সামনে আসছে দল ও শরিকদের সঙ্গে বিবাদের জেরে রাজ্যের ৪৮ লোকসভার অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা যায়নি ওই রাজ্যে।
একই পরিস্থিতি বিহারে। ফলে ওই রাজ্যেরও একটি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি পদ্ম শিবির। মহারাষ্ট্রে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে একগুচ্ছ কর্মসূচি বাতিল করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে ছুটতে হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবসেনা দাবি করেছে, গতবারের মতোই তাদের কুড়িটি আসন ছাড়তে হবে। নতুন শরিক এনসিপি’কে আসন ছাড়তে হলে তা বিজেপির ভাগ থেকে দিতে হবে। আবার অজিত পাওয়ারের এনসিপি-র বক্তব্য, তাদের ন্যায্য আসন দিতে হবে। কারণ অজিত গোষ্ঠীকেই নির্বাচন কমিশন মূল দল বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে এনসিপি চারটি আসনে জিতেছিল। প্রার্থী দিয়েছিল পনেরো আসনে। ফলে মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে এনসিপি’র বায়নাও মেটাতে হবে।