২০২০ সালের দেশ জোড়া কৃষক আন্দোলনের কথা এখনও ভোলেনি দেশবাসী। যার সামনে রীতিমতো মাথা নত করতে হয়েছিল মোদী সরকারকে। লোকসভা নির্বাচনের মুখে সেই স্মৃতি উসকে ফের আন্দোলনে নেমেছেন দেশের অন্নদাতারা। আর তাতেই ঘুম ছুটেছে বিজেপির। ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে জয়ের পর এবং বিহারে সরকার বদলে দিয়ে গোবলয় দখলে পরম নিশ্চিন্তে ছিলেন মোদী-শাহ জুটি। কিন্তু, নতুন করে কৃষক আন্দোলন মাথা চাড়া দেওয়ায় এবং এলন মাস্কের বোমা ফাটানো রহস্য ফাঁসের পর থেকে সেই পরম সুখ ছুটে গিয়েছে তাঁদের।
শুধু তাই নয়, ইন্ডিয়া জোট শরিকদের একের পর এক আসন সমঝোতার আলোচনা সফল হওয়াতেও স্বস্তি নেই গেরুয়া শিবিরে। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো একদিন আগেই এক্স অর্থাৎ সাবেক ট্যুইটার মালিক এলন মাস্ক ভারত সরকার প্রসঙ্গে হাটে হাঁড়ি ফাটানোয় মুখে আন্তর্জাতিক স্তরেও মুখে কালি পড়েছে নয়াদিল্লির। এখানেই শেষ নয়। ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা মোদী-সমালোচক সত্যপাল মালিকের বাড়ি সহ ৩০টি জায়গায় কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশি নিয়েও বিরোধীদের তোপের মুখে মোদী। কারণ নিজেকে কৃষকসন্তান বলা মালিকও এই আন্দোলনের সপক্ষে মুখর ছিলেন।
কিন্তু, সবার ওপরে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেলে জখম শুভকরণ সিংয়ের ‘শহিদ’ হয়ে যাওয়া খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। গতকাল এই ঘটনার প্রতিবাদে কালা দিবস পালন করছেন কৃষকরা। তাঁরা আগামী কর্মসূচিও ঘোষণা করে দিয়েছেন। ফলে, লোকসভায় হ্যাটট্রিক করার লক্ষ্যে চোখ বুজে থাকা নরেন্দ্র মোদির ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে পঞ্জাবের কৃষকরা। যার পিছনে রয়েছে কৃষকদের প্রায় সব সংগঠনই। এদিকে, কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ট্রাক্টর মিছিল শুরু হবে এবং রাজধানীর রামলীলা ময়দানে। ১৪ মার্চ মহাপঞ্চায়েত বসবে। সুতরাং, ভোটের ঠিক মুখে সাঁড়াশি চাপে পড়েছে বিজেপি।