কথায় আছে, যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। আর এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি চুটিয়ে শিল্প-সাহিত্য চর্চাও করে থাকেন তিনি। ছবি আঁকাই হোক বা ছড়া-কবিতা লেখা, গান বাঁধাই হোক কিংবা বাদ্যযন্ত্র বাজানো— সব ক্ষেত্রেই তাঁর অবাধ বিচরণ। এবার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর সেটেও দেখা গেল ‘দিদি’কে! সেখানে কখনও তিনি গাইলেন, কখনও রুটি বেললেন, কখনও আবার নিজের লেখা কবিতা শোনালেন। আবার কখনও অন্য প্রতিযোগীকে উত্তর দিতে সাহায্য করলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জনপ্রিয় টেলিভিশন শোয়ের মঞ্চে নানা মুডে ধরা দিলেন মমতা। প্রায় আড়াই ঘণ্টার শুটিংয়ে ক্যামেরাবন্দি হল রিয়েলিটি শো-তে যোগ দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর নানা মুহূর্ত।
কিন্তু এর ফলে চিন্তাও বেড়েছে ভিডিও এডিটরদের। কারণ, শো তো মোটে এক ঘণ্টার। অথচ মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী এত কিছু করেছেন যে, কোন অংশটা এডিট করে বাদ দেবেন, তাই বুঝতে পাচ্ছেন না তাঁরা। উল্লেখ্য, এই রিয়্যালিটি শোয়ে ‘প্রতিযোগী’ নয়, ‘বিশেষ অতিথি’ হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন বাংলার ‘দাদা’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘরনি ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, সঙ্গীতশিল্পী শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরুন্ধতী হোমচৌধুরী। কিন্তু শো আলোকিত হল মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরেই। গল্প থেকে গান, কবিতা থেকে মজার খেলা, সবেতেই একাই একশো ‘দিদি’। যা দেখে উচ্ছ্বসিত সেটে হাজির প্রত্যেকে। জানা গিয়েছে, শৈশব থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তাঁর জীবনের যাত্রাপথের অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উঠে এসেছে তাঁর জীবন সংগ্রামের প্রসঙ্গও। অনুষ্ঠানে সকলের অনুরোধে ছবিও আঁকেন তিনি। গান করেন। তাঁর লেখা এবং সুর-দেওয়া গান গেয়ে শোনান শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে ‘দিদি’র উপস্থিতিতে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর মঞ্চে তৈরি হল নয়া ইতিহাস।