দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। যে কোনও দিনই ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করে দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। আর এই শেষ মুহূর্তে ক্রমশই যেন সক্রিয় হয়ে উঠছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি, দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হওয়ার পর এবার কংগ্রেসের নজর মহারাষ্ট্রে। সে রাজ্যে সমঝোতা চূড়ান্ত করতে এবার আসরে খোদ রাহুল গান্ধী।
এমনিতে মহারাষ্ট্রে ইন্ডিয়া জোটের সমীকরণে বিশেষ সমস্যা নেই। রাজ্যের ৪৮ আসনে রফা হবে কংগ্রেস, শিব সেনার উদ্ধব শিবির, এনসিপির শরদ পাওয়ার শিবির এবং প্রকাশ আম্বেদকরের বহুজন বিকাশ আঘাড়ির। এই চার দলের মধ্যে আসনরফা নিয়ে আলোচনা মোটামুটি পাকা। সমস্যা হচ্ছে কে কোন আসনে লড়বে তাই নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, মুম্বইয়ের কয়েকটি আসন নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থানে অসন্তুষ্ট উদ্ধব শিবির।
মুম্বই বরাবর শিব সেনার গড়। উদ্ধব শিবির চাইছে মুম্বইয়ের ৬ আসনের মধ্যে চারটি লড়তে। আর কংগ্রেসের জন্য দুটি আসন ছাড়তে রাজি তাঁরা। আবার কংগ্রেস বলছে, এই ৬ আসনের মধ্যে ৩-৩ ফর্মুলায় রফা হোক। তাতেই সমস্যা। সম্প্রতি কংগ্রেসের দুই প্রভাবশালী নেতা মিলিন্দ দেওরা এবং অশোক চৌহান যোগ দিয়েছেন বিজেপি এবং শিণ্ডে শিবিরে। আর তারপরই উদ্ধব শিবির সুর আরও চড়িয়েছে। যার ফলে শেষ মুহূর্তে জোট আলোচনায় জটিলতা তৈরি হয়েছে।
সেই জটিলতা কাটাতেই এবার আসরে রাহুল। সূত্রের খবর, মুম্বইয়ের আসনরফা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে। রাহুল উদ্ধবকে বুঝিয়েছেন, দুই দলেরই বহু নেতা এখন বিরোধী শিবিরে। এই অবস্থায় অস্তিত্ব বাঁচাতে একজোট হওয়া জরুরি। সেকারণে কমবেশি আত্মত্যাগ সবাইকেই করতে হবে। শারদ পাওয়ারকে দুই শিবিরের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার বিরতিতে উদ্ধবের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাখানেক ফোনে কথা বলেছেন রাহুল। কথা হয়েছে পাওয়ারের সঙ্গেও।