এবার বিদেশানীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার হল ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দিরের এক যুবক পুরোহিত। সুইডেনের নাগরিক ২৮ বছরের এক পর্যটককে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। পুরোহিতের বয়স ২৪ বছর। প্রসঙ্গত, উড়িষ্যার রাজধানী ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দির অতি প্রাচীন ও বিশাল। দেশ বিদেশ থেকে রোজ মন্দির দর্শনে আসেন শত শত পর্যটকরা। এখানে শিবলিঙ্গ ছাড়াও মন্দির চত্বরে অসংখ্য ছোট মন্দির রয়েছে। বাঙালিদের অধিকাংশই এই মন্দিরের সঙ্গে পরিচিত। কারণ পুরী ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের প্যাকেজ ট্যুরের মধ্যে এই মন্দির দর্শনও থাকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরোহিতের নাম কুন্দন মহাপাত্র। তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। কুন্দন এর আগেও ২০২৩ সালের ৯ই জুলাই শ্লীলতাহানি এবং তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল। সেবার দেশের এক পর্যটকের সঙ্গে সে কুরুচিকর আচরণ করেছিল। সেই মামলায় সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছিল সে।
উল্লেখ্য, উক্ত সুইডিশ রমণী তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, তিনি মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলেন। তখন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। সেই সময় মহাপাত্র এসে তাঁকে গাইড হওয়ার প্রস্তাব দেয়। যেহেতু লিঙ্গরাজ মন্দিরে অহিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ, সেহেতু কুন্দন তাঁকে ওয়াচ টাওয়ারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মন্দিরটি পুরো দেখা যায়। এরপর কুন্দন সুইডিশ পর্যটককে মন্দিরের কাছে একটি ছোট মন্দিরে নিয়ে যায়। সেখানে ঢুকে সে যুবতীকে চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করতে বলে। তিনি তা করার সময় কুন্দন তাঁর গায়ে হাত দেয়। সুইডিশ যুবতী বাধা দিলে সে জোর করে এবং তাঁর যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। সিসিটিভ ফুটেজ দেখে পুলিশ কুন্দনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, “আমরা বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। কারণ এর সঙ্গে শুধু উড়িষ্যা নয়, দেশের মর্যাদাও জড়িত।” এ বিষয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য জানা যায়নি। এর আগে একই ধরনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেও কেন তাকে সরানো হয়নি, এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, মহাপাত্রর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্দির কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে ইতিমধ্যেই।