লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের উপর চাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। সেই দীর্ঘ তালিকায় নয়া সংযোজন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। বৃহস্পতিবার সাতসকালে মালিকের ঠিকানায় তল্লাশি চালাল সিবিআই।
৩০০ কোটি টাকার জল কেলেঙ্কারিতে এদিন দিল্লি এবং কাশ্মীরের মোট ৩০টি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সত্যপাল মালিকের বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সত্যপাল কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন ২২০০ কোটি টাকার সেচ প্রকল্পে ৩০০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়া হয়। এই ঘটনায় গত বছর মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে সিবিআই। সেই মামলাতেই তদন্ত চলছে।
আসলে গত বছর এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এবং সংঘ পরিবারকে নিশানা করে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছিলেন সত্যপাল। পুলওয়ামা নিয়েও বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল দাবি করেছিলেন, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী কেন্দ্র। সিআরপিএফ সেসময় সেনা জওয়ানদের জন্য হেলিকপ্টার চেয়েছিল, কিন্ত সেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেয়নি। এমনকী জওয়ানদের যাত্রাপথের নিরাপত্তাও খতিয়ে দেখা হয়নি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন আম্বানির সংস্থার জীবন বিমা সংক্রান্ত ৩০০ কোটির একটি ফাইল পাশ করানোর জন্য তাঁকে চাপ দিয়েছিলেন এক আরএসএস নেতা।
এর পরও একাধিকবার বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন মালিক। ঠিক সেই সময় থেকেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির র্যাডারে চলে আসেন মালিক। গত প্রায় এক দেড় বছরে একাধিকবার তাঁর ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।