লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের বিপাকে পড়ল বঙ্গ বিজেপি। এবার বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই ও বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে নিখোঁজের পোস্টার পড়ল। আজ দুর্গাপুরে ডিটিপিএস টাউনশিপের থার্ড কলোনি সংলগ্ন খাটাল বস্তিতে পরপর পড়ল এই পোস্টার। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার প্রাক্কালে এমন নিখোঁজ পোস্টার অস্বস্তিতে ফেলেছে বঙ্গ বিজেপিকে। কেন্দ্রীয় সংস্থা দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে এখানে। কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এই কাজে। ইতিমধ্যেই ডিটিপিএস কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে নানা এলাকায়। এমনকী অভিযান শুরু হয়েছে এই কাজের জন্য। তাই আন্দোলন পাল্টা আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়েছে দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার টাউনশিপ চত্বর। এই আবহে পাশে পাওয়া গেল না এলাকার বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ককে। এদিকে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ হলে তাঁরা বুলডোজারের সামনে দাঁড়াবেন বলে দিয়ে ছিলেন প্রতিশ্রুতি। অথচ সঠিক সময়ে মানুষের পাশে তাঁরা দাঁড়ালেন না বলে এখন অভিযোগ উঠছে। কয়েক মাস আগে এই রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বস্তিবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া এবং বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা সম্প্রসারণের জন্য উচ্ছেদের কাজ শুরু করতেই নিখোঁজ হলেন বিধায়ক আর সাংসদ। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন সংলগ্ন বস্তি এলাকায় মঙ্গলবার এমন পোস্টার পড়ল।
উল্লেখ্য, বস্তিবাসীদের দাবি ছিল যে পুনর্বাসন ছাড়া তাঁরা সরবেন না। আজ, মঙ্গলবার সেই দাবিকে সামনে রেখেই দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই ও বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার নামে নিখোঁজের পোস্টার পড়ে দুর্গাপুরের ডিটিপিএস টাউনশিপের এফএস খাটাল বস্তিতে। উত্তেজিত বস্তিবাসিরা বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে বলেন, “ভোটের সময় ভোট নেয় আর তারপর এই নেতাদের দেখা মেলে না। আর এই বিপদে তো দেখা যায়নি তাদের। আর তারই প্রতিবাদে তারা এলাকাজুড়ে বিজেপি বিধায়ক এবং সাংসদের নামে নিখোঁজের পোস্টার দিয়েছি। এতে যদি তাদের ঘুম ভাঙে।” উচ্ছেদের কাজ শুরু করেছে রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা। স্থানীয়দের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বস্তি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বলে অভিযোগ। কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সহ–সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়। “মানুষের পাশে ওরা থাকে না। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগও রাখে না। ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু ভোট পেরলেই আর দেখা মেলে না। তাই মানুষ নিখোঁজ বলেছে”, বক্তব্য তাঁর।