গত সপ্তাহে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বহু বাসিন্দার আধার কার্ড বাতিল হয়ে গিয়েছে অভিযোগ ওঠে। তারপর একই ঘটনা ঘটে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এবং হুগলির মগরাতেও। আর বর্ধমান, নদিয়া, হুগলির পর এবার আধার কার্ড বাতিলের চিঠিকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়া কালীবাড়ি পোস্ট অফিস থেকে ফোন যায় ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মুকুল দাসের কাছে। সেই ফোন পেয়ে পোস্ট অফিস থেকে চিঠি পেয়েউ চোখ কপালে উঠেছে মুকুলবাবুর। চিঠির বয়ানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে তাঁর আধার নম্বরটি ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়েছে। ওই খবর রটতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। চিন্তায় পড়ে যান মুকুলবাবু। তিনি জানান, কিছুদিন আগে ১২০০ টাকা দিয়ে আধারে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করেছেন। তার পর এই চিঠি।
ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মুকুল দাসই শুধু নন, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামের কিছু লোকজনও আধার বাতিলের চিঠি পেয়েছেন। খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকিরপাড়া বুথের পঞ্চায়েত সদস্য অলক রায় জানান, তাঁর এলাকা থেকেও আধার নম্বর বাতিলের খবর রয়েছে। কামাতপাড়া পোস্ট অফিস থেকে বেশকিছু চিঠি এলাকায় বিলি হয়েছে। পান্ডাপাড়া কালীবাড়ি সাব পোস্টমাস্টার দেবব্রত রায় জানান, বেশ কিছু আধারের চিঠি এসেছে। ইতিমধ্যেই ২৫-৩০ টি চিঠি ডিস্ট্রিবিউট হয়েছে। ঘটনায় খড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সুভাষচন্দ্র জানান, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী পাশে আছেন, দল তথা আমরা পাশে আছি। চিন্তার কোন কারণ নেই।
