সামনে লোকসভা ভোট । তার আগে যে কোনও দিন খুব কম সময়ের ব্যবধানে মেদিনীপুর সফরে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্ভবত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই।
একদিকে যেমন প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে, তেমনই তৃণমূলের তরফেও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার বক্তব্য, প্রশাসনিক সভা হবে কিনা তা প্রশাসনই বলতে পারবে। তবে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি দলীয় সমাবেশ করার পরিকল্পনা আছে। সেই সমাবেশে হাজির থাকবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঝাড়গ্রাম সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রে খবর তেমনই। তার পরেই হয়তো সফর করবেন পশ্চিম মেদিনীপুরে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সম্ভাব্য সফরকে ঘিরেই ব্যস্ততা বেড়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। গোটা জেলা একপ্রকার চষে বেড়াচ্ছেন খোদ জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি। সাম্প্রতিককালে সমস্যার সমাধান ও জনসংযোগ কর্মসূচিতে জেলার পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিতে গিয়ে মানুষের সমস্যার কথা শুনেছেন জেলাশাসক। রীতিমতো চাটাই, মাদুর, ত্রিপল পেতে তার উপরই বসে শুনেছেন গ্রামবাসীদের কষ্টের কথা। চেষ্টা করেছেন সমাধানের। দিয়েছেন আশ্বাসও। আবার একশো দিনের কাজে জবকার্ড হোল্ডারদের তথ্য খতিয়ে দেখতেও নিজে পৌঁছে গিয়েছেন গ্রামে গ্রামে। ছুটছেন অন্যান্য অতিরিক্ত জেলাশাসক থেকে শুরু করে এসডিও, বিডিওরাও। উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিভাগকে নিয়েও করছেন পর্যালোচনা বৈঠক।
এদিকে আসরে নেমে পড়েছে শাসকদল তৃণমূলও। মাত্র কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ভাতা দ্বিগুণ করে দিয়েছেন। ৫০০ টাকার জায়গায় এখন থেকে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা। তার উপর কেন্দ্রের কয়েক হাজার কোটি টাকা বকেয়া থাকলেও একশো দিনের কাজের বকেয়া মজুরি মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দুটি ইস্যুকেই এবার লোকসভা ভোটে মূল ইস্যু করে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। তাই এদিন থেকেই জেলার প্রতিটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় জবকার্ড হোল্ডারদের সুবিধার্থে সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।