মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই নাম না করে ভারতকে বার্তা দিয়েছিলেন মহম্মদ মুইজ্জু। পরে নাম করেই এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, আইন মেনে মলদ্বীপ থেকে সমস্ত ভারতীয় সেনা সরিয়ে দেওয়া হবে। এমনকী প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু-সহ মলদ্বীপ সরকারের তিন মন্ত্রী। যার ফলে গত কয়েক মাস ধরেই মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এরই মধ্যে এবার জানা গেল, মলদ্বীপে ‘অপরাধ’ করার দায়ে ৪৩ জন ভারতীয় ব্যবসায়ীকে ‘ডিপোর্ট’ করল মালে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কারও বহু নাগরিকদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মলদ্বীপ সরকার। তবে এই তালিকায় চিনের কোনও নাগরিক নেই বলেই জানা গিয়েছে।
এর আগে গত সোমবার মলদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ঘোষণা করে, সেদেশে বেআইনি ভাবে চলতে থাকা ব্যবসা বন্ধ করা হবে। এছাড়া সেই বিদেশি ব্যবসায়ীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বন্ধ করা হবে। এই নিয়ে সেই দেশের অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনায় বসে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী আলি এহসান। অভিযোগ, স্থানীয় কারও নামে ব্যবসা রেজিস্টার করিয়ে তা আদতে বিদেশিরা চালায়। এমনকী ব্যবসার লভ্যাংশ বিদেশিদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে গিয়ে জমা হয়। এই আবহে সেই দেশের অভিবাসন দফতর জানিয়েছে, মোট ১৮৩ জন বিদেশিকে এই বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে চিহ্নিত করা হয়। এই আবহে তাঁদের মলদ্বীপ থেকে তাদের নিজেদের দেশে পাঠানো হয়েছে। এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশির নাম আছে। জানা গিয়েছে মলদ্বীপ থেকে ডিপোর্ট হওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা ৮৩। আর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই আছে ভারত। এরপরে তৃতীয় স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। সেদেশের ২৫ জনকে ডিপোর্ট করা হয়েছে। নেপালের ৮ নাগরিককেও দেশে ফেরত পাঠায় মালে।