২০২০ সালের দেশ জোড়া কৃষক আন্দোলনের কথা এখনও ভোলেনি দেশবাসী। যার সামনে রীতিমতো মাথা নত করতে হয়েছিল মোদী সরকারকে। সেই আন্দোলনের স্মৃতি উসকে ফের ‘দিল্লি চলো’র ডাক দেন দেশের অন্নদাতারা। আর তা ঘিরেই দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের সীমানা কার্যতই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধী ঘোষণা করলেন, ‘ইন্ডিয়া’র সরকার ক্ষমতায় এলে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনে এমএসপি-র আইনি নিশ্চয়তা দেবে। এক সপ্তাহ আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাঁকে ‘ভারতরত্ন’ দিয়ে কৃষকদের ‘সদর্থক বার্তা’ দিতে চেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, এই স্বামীনাথনই ঠিক করেছিলেন, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) কী হওয়া উচিত।
গতকাল, কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ ঠেকাতে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন দিল্লি পুলিশ রাজধানীতে ঢোকার রাস্তায় পেরেক পুঁতে, কংক্রিট-লোহার ব্যারিকেড বসিয়ে, কাঁটাতার বিছিয়েছে। বিজেপি শাসিত হরিয়ানার পুলিশ পাঞ্জাব-হরিয়ানার চাষিদের ‘দিল্লি চলো’ ঠেকাতে ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট ছুঁড়েছে। এ নিয়ে বিজেপি শিবির যখন প্রশ্নের মুখে তখন রাহুল ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা থেকে এমএসপি-র আইনি নিশ্চয়তা চালু করার প্রতিশ্রুতি দিলেন। যাতে দেশের সব চাষির ফসলের সরকার ঘোষিত এমএসপি মেলে।
রাহুলের বক্তব্য, ন্যায় যাত্রা থেকে কংগ্রেস পাঁচটি ন্যায় বা নিশ্চয়তা ঘোষণা করবে। এমএসপি-র আইনি নিশ্চয়তা হল এই পাঁচ ন্যায়ের প্রথম নিশ্চয়তা। ন্যায় যাত্রার মধ্যে গতকাল ছত্তীসগঢ়ের অম্বিকাপুরে রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে জনসভা করেছেন। সেখান থেকেই এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, এতে কৃষকদের জীবনে তিনটি বদল আসবে। এক, ফসলের ঠিক দাম মেলায় কৃষকদের দেনার বোঝা থেকে মুক্তি মিলবে। দুই, কোনও কৃষককে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে না। তিন, চাষ-আবাদ লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হবে। দেশের ১৫ কোটি কৃষক সমৃদ্ধ হবেন।