কৃষক বিক্ষোভে মঙ্গলবার উত্তাল হয়েছিল হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও দিল্লির সীমানা এলাকা। প্রতিবাদীদের রুখতে ড্রোন থেকে লাগাতার কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। যদিও তাঁদের দমিয়ে রাখা যায়নি। মধ্য রাতের বিরতির পর বুধবার সকালে ফের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান শুরু করেছে কৃষকরা। শুক্রবার ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
তাদের দাবি সরকার পক্ষ তাঁদের কোনও দাবিই শুনতে রাজি নয়। এমনকী কৃষক বিক্ষোভের উপর জুলুম চালাচ্ছে প্রশাসন। মঙ্গলবার গভীর রাতেও কৃষকদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। তবে প্রবল বিরোধিতার মধ্যেও নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল তাঁরা।
কৃষকরা সাফ জানাচ্ছেন, অন্তত ছমাস ধরে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার মতো রশদ নিয়েই দিল্লির পথে রওনা হয়েছেন। এবার শেষ দেখে ছাড়বেন। ফলে বুধবার সকাল থেকে নতুন করে জোর কদমে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এর ফলে দিল্লি শহরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে।
নিজেদের অধিকার বুঝে নিতেই তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন বলে দাবি কৃষকদের। পঞ্জাবের খন্না থেকে আসা কৃষক অমনদীপ কৌরের কথায়, ‘আমরা ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা, লখিমপুর-খেরিতে মৃত্যু হওয়া ভাইদের ক্ষতিপূরণ এবং ঋণ মকুবের দাবিতে পথে নেমেছি। কৃষকদের পেনশন পাওয়া উচিত। আমরা আমাদের অধিকারের জন্য এসেছি।’