গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছিল পাকিস্তানের দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন। তবে তারপর দেশ জুড়ে ২৬৫ আসনে গণনা শেষ হলেও ভোটের ফলাফল এখনও ঝুলে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ফল ঘোষিত হয়েছে। আর তাতেই স্পষ্ট নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা মেলেনি কোনও দলেরই। এমতাবস্থায় ‘পাকিস্তানকে বাঁচানো’র শপথ নিল পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ। রবিবার ভোট গণনা শেষ হওয়ার পরেই বৈঠকে বসেন দুই দলের প্রধান।
প্রসঙ্গত, ২৬৫ আসনের পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১৩৩টি আসন। কিন্তু গণনার শেষে ১০১টি আসন জিতেছে ইমরান খানের দল পিটিআই ও তাদের সমর্থিত নির্দলরা। অন্যদিকে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ৭৩টি আসনে জয়লাভ করেছে। বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পিপিপি ৫৪টি আসনে জিতেছে। কিন্তু এই দুই দল জোট বাঁধলেও ৬টি আসন কম পড়ছে। ফলে অন্যান্যদের সঙ্গে জোট বেঁধে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে মরিয়া দুই শিবিরই।
এহেন পরিস্থিতিতে রবিবার বৈঠকে বসেন আসিফ আলি জারদারি, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও শাহবাজ শরিফ। তিন নেতার বৈঠকের পরে ভুট্টোর দলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ‘দেশের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে নেতাদের মধ্যে। আগামী দিনে কীভাবে দুই দল একসঙ্গে কাজ করতে পারে, সেই নিয়েও কথা হয়েছে বিশদে। দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় ফেরাতে একত্রিত হয়ে কাজ করতে রাজি দুই দলের নেতৃত্বই।’
এই বিবৃতিতেই উঠে এসেছে পাকিস্তানকে ‘বাঁচানো’র প্রসঙ্গ। বলা হয়েছে, ‘রাজনৈতিক সংকট থেকে পাকিস্তানকে বাঁচাতে হবে। দলীয় সদস্যদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে এই প্রসঙ্গে। দেশের অধিকাংশ মানুষ আমাদের আদেশ দিয়েছেন, তাঁদের নিরাশ করব না।’ তবে দুই দল জোট বাঁধলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা এখনও অধরাই। ফলে অন্যান্য জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে ভুট্টোর দল। কিন্তু পিপিপি-পিএমএল(এন) জোটকে কারা সমর্থন দেবে, সেটা এখনও অনিশ্চিত।