লোকসভা নির্বাচনের আগেই আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভার ৫৬টি আসনের জন্য অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে ১৩টি রাজ্যের ৫০টি আসনের সদস্যদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২রা এপ্রিল। আর দুই রাজ্যের ৬টি আসনের সদস্যদের মেয়াদ শেষ হবে ৩রা এপ্রিল। বাংলা ছাড়াও যে সব রাজ্যগুলিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, কর্ণাটক, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশ। সেই নির্বাচনে বাংলার ভাগে থাকা ৫টি আসনের মধ্যে রাজ্য বিধানসভায় ক্ষমতার বিন্যাসে ৪টি আসন তৃণমূলের পাওয়ার কথা। সেই সূত্রেই গত ১১ই ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ গত পরশু শনিবার তৃণমূলের তরফে তাঁদের ৪ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়। এরা হলেন, সুস্মিতা দেব, নাদিমুল হক, মমতাবালা ঠাকুর এবং সাগরিকা ঘোষ। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সেই ৪ প্রার্থীর মধ্যে সুস্মিতা ও নাদিমূল রাজ্য বিধানসভায় এসে তাঁদের মনোনয়ন দাখিল করলেন। আগামী বৃহস্পতিবার তাঁদের মনোনয়ন দাখিল করবেন বাকি ২জন। রাজ্যসভার যে ৫টি আসনে এবার বাংলায় নির্বাচন হয়েছে আগে সেই আসনে ছিলেন আবিররঞ্জন বিশ্বাস, শুভাশিস চক্রবর্তী, শান্তনু সেন, নাদিমূল হক ও অভিষেক মনু সিংভি। প্রথম ৪জন ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ। শেষের জন তৃণমূলের সমর্থনে কংগ্রেস সাংসদ।
প্রহঙ্গত, দলের আগেকার ৪ সাংসদের মধ্যে ৩ জনকেই এবার আর টিকিট দেয়নি জোড়াফুল। এই ৩ জন হলেন আবিররঞ্জন বিশ্বাস, শুভাশিস চক্রবর্তী ও শান্তনু সেন। জল্পনা, ৩ জনকেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে পারে জোড়াফুল শিবির। ওই ৩ জনের পরিবর্তে এবার তৃণমূলের তরফে টিকিট দেওয়া হয়েছে সুস্মিতা দেব, মমতাবালা ঠাকুর ও সাগরিকা ঘোষকে। সেই সঙ্গে দ্বিতীয়বারের জন্য নাদিমুলকে দ্বিতীয় বারের জন্য টিকিট দেওয়া হয়েছে। সুস্মিতা এর আগেও তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। তবে পূর্ণ দফার সাংসদ তিনি ছিলেন না। তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে দল থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। অনেকেই ভেবেছিলেন তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে হয়তো সুস্মিতা ফের কংগ্রেসে ফিরে যাবেন। কিন্তু সুস্মিতা তৃণমূলেই থেকেছেন। এবার তার দামও পেলেন। ফের এদিন তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে রাজ্যসভার আসনের জন্য মনোনয়ন দাখিল করেছেন তিনি। অন্যদিকে মতুয়াদের বাড়ির মেয়ে তথা বড়মা বীণাপানি দেবীর পুত্রবধূ মমতাবালা ঠাকুর আগে তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ ছিলেন। এবার রাজ্যসভার প্রার্থী হচ্ছেন তিনি।