উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমার চোপড়া ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেতনাগাছে বিএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ শিশুর। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে নিশানা করেছে তৃণমূল। এবার তাঁদের নিশানায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। রাজ্যের শাসক দলের তরফে রাজভবনকে স্পষ্ট বার্তা, ‘সন্দেশখালি যেতে পারলে চোপড়াতেও যান।’ মঙ্গল দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবিও জানালেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের সঙ্গে রাজভবনে দেখা করার জন্য সময়ও চেয়েছে। সময় পাওয়া গেলে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরা তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম পেতেই কেরালা সফর কাটছাঁট করে কলকাতায় ফিরে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতায় পা রেখেই তিনি ছুটেছিলেন সন্দেশখালিতে। আর তা দেখেই রাজ্যের শাসকদলের প্রশ্ন, অশান্তির অভিযোগে রাজ্যপাল যদি সন্দেশখালি যেতে পারেন, তাহলে বিএসএফের গাফিলতিতে ৪টি শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কেন চোপড়া পরিদর্শনে যাবেন না? তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজপালের কাছে চোপড়ায় যাওয়ার আবেদন জানাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। জানা গিয়েছে, ফিরহাদ-চন্দ্রিমা-ব্রাত্যের সঙ্গী হতে পারেন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ-সহ মোট ১২ জনের প্রতিনিধিদল। রাজ্যপালের কাছে বিএসএফের বিরুদ্ধে নালিশ জানানো হবে বলেই জানা গিয়েছে। রাজ্যপাল ১৫ তারিখ তৃণমূলকে তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় দিয়েছেন। সেদিন বেলা ১২টায় তিনি সময় দিয়েছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে।