গত আট ফেব্রুয়ারি হালদওয়ানির বনভুলপুরা এলাকায় সরকারি জমিতে দখলদার উচ্ছেদে যাওয়া প্রশাসন ও পুলিশের ওপরে পাথ ছোড়া ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুরসভা ও সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়নের পরে পুরসভার তরফে ক্ষতিপূরণের জন্য ওইদিন হামলার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল মালিককে নোটিশ দিয়েছে।
পুরসভার তরফে অভিযুক্তকে ১৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যে ২.৪৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, সময়সীমা পার করে ফেললে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গ ক্রমে উল্লেখ করা যেতে পারে, কোনও হিংসা মূল অভিযুক্তের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের প্রক্রিয়া এর আগে যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশে দেখা গিয়েছে একাধিকবার।
এদিকে হালদওয়ানি জেলার বনভুলপুরায় হিংসার চারদিন পরে সেখানকার মুসলিম পরিবারগুলি জেলা ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় যেতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই প্রায় পাঁচশো পরিবার শহর ছেড়েছে। অনেক পরিবারকে রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যেতে দেখা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে ওই এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। ফলে সেখানে যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ।
বনভুলপুরার সব প্রবেশ ও বের হওয়ার রাস্তাগুলি সিল করে দিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবেন না কিংবা কেউ ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। সূত্রের খবর, পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। তাই যাতে দাঙ্গাবাজরা পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্য সতর্ক করেছে প্রশাসন।