আদিবাসী যুবকের উপর শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে আবারও খবরের শিরোনামে চলে এল মধ্যপ্রদেশ। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কয়েক জন মিলে এক জন যুবককে ঘিরে ধরে মারধর করছে। শুধু তা-ই নয়, নিগৃহীত যুবককে কান ধরে মাটিতে উবু হয়ে বসে থাকতে বাধ্য করা হয়। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ‘এখন খবর’।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে ১৭৮ কিলোমিটার দূরে বেতুলে ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবকের ওপর চড়াও হয়েছেন কয়েক জন। তাঁকে মারধরও করা হয়। মারের চোটে যুবকের মুখ থেকে রক্ত ঝরছে। তার পর তাঁকে মাটিতে বসিয়ে দেওয়া হয়। নির্যাতিত বার বার তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করছেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নির্যাতিতর নাম রাজু উইকে। আদিবাসী এই যুবক গান-বাজনার সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়াও বেতুলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করেন তিনি। হামলাকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন এলাকার বজরং দলের সদস্য চঞ্চল রাজপুত। পরে রাজু নিজেও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি রাত ১১টা নাগাদ কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলাম। সুভাষ স্কুলের কাছে আসতেই চঞ্চল রাজপুত এবং তাঁর বন্ধুরা আমাকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে। কেন আমায় মারছে, সেটা জানতে চাওয়ায় আরও রেগে যায় তারা। আমায় কটূক্তিও করেছে।’ ঘটনার নিন্দা করে সমাজমাধ্যমে ভিডিয়োটি পোস্ট করেন মধ্যপ্রদেশের রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি জিতু পাটোয়ারি। সেই সঙ্গে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ারও আর্জি জানান তিনি। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চঞ্চলদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। বেতুলের পুলিশ সুপার (এসপি) সিদ্ধার্থ চৌধুরী জানান, শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।