স্কুলে গিয়ে গোলমাল পাকিয়ে দিয়েছেন একনাথ শিন্ডের দলের গোষ্ঠীর বিধায়ক সন্তোষ বাঙ্গার। তাঁর কথায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। শুরু হয়ে গিয়েছে পাল্টা শিবসেনাকে নিশানা করা। নিশানায় শিবসেনা বিধায়ক সন্তোষ বাঙ্গার।
এক সপ্তাহ আগেই নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, কোনওভাবেই যেন নির্বাচনী কোনও কাজে শিশুদের ব্য়বহার করা না হয়। এর মধ্যেই গন্ডগোল পাকিয়ে বসেছেন সন্তোষ। মহারাষ্ট্রের হিংগোলি জেলার একটি স্কুল পরির্দশনে গিয়ে সন্তোষ পড়ুয়াদের উদ্দেশ্য়ে বলেন, তোমাদের বাবা-মা যদি আমাকে ভোট দিতে না চায় তাহলে ২ দিন খাওয়া বন্ধ করে দাও। বছর দশেকের ওইসব শিশুদের সন্তোষ আরও বলেন, ‘তোমাদের বাবা-মা না খাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করবে। তখন বলবে সন্তোষ বাঙ্গারকে ভোট দিন তার পর আমরা খাব।’ এখানেই শেষ নয়, বাঙ্গার ওইসব পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসা করেন, কী বলবে বলতো? শিশুদের দিয়ে ওই কথা বলিয়ে নেন।
ওই ঘটনার পর এবার আসরে নেমে পড়েছে কংগ্রেস ও শরদ পাওয়ারের এনসিপি গোষ্ঠী। শরদ পাওয়ারের গোষ্ঠীর মুখপাত্র সিলড্রে ক্যাস্ট্রো বলেন, সন্তোষ বাঙ্গার যা বলেছেন তা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকার বিরোধী। বাঙ্গারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বিজেপির জোট সঙ্গী হওয়ার কারণে বারবার অপরাধ করে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন।
কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেতিয়ারও এনিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁর দাবি, নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছেন বাঙ্গার। আর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কি ঘুমাচ্ছেন? একজন নেতা স্কুলে ঢুকে শিশুদের এসব বলে যাচ্ছেন আর তা মুখ বুজে সহ্য করছে মন্ত্রী?