ঢাকঢোল পিটিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করার কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছে ভারত। কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে বয়স্ক ও কো-মর্বিডিটিদের ‘বিসিজি আডাল্ট রি-ভ্যাকসিনেশন’ বা ফের বিসিজির দুটি টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করেছ কেন্দ্র। কিন্তু সব রাজ্যে কর্মসূচি চালুর জন্য বিসিজি টিকা পাঠানোর কাজ শুরু হলেও বিস্ময়করভাবে পশ্চিমবঙ্গে কোনও টিকা বরাদ্দ হয়নি। বরাদ্দ হয়নি অর্থও।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তাও স্পষ্ট করেনি স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বলা হয়েছে, বিষয়টি ফের খতিয়ে দেখা হবে। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচির আওতায় পশ্চিমবঙ্গকে অবিলম্বে যুক্ত করতে দপ্তরের প্রধান সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম দিল্লিকে চিঠি দিয়েছেন। উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, এমন হলে রাজ্যে একটি নোটিফায়েড ডিজিজ নির্মূল হওয়া থেকে বাদ চলে যাবে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, জট কাটাতে স্বাস্থ্য প্রতিনিধিরা আগামী সপ্তাহে দিল্লি যাবেন। জুন মাস থেকে গোটা দেশে কর্মসূচি চালু হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় যক্ষ্মা দূরীকরণ কর্মসূচির ‘নিকশয়’ পোর্টালের তথ্য বলছে, বছরে ৫০ হাজার মানুষ যক্ষ্মা আক্রান্ত হন। আবার মোট আক্রান্তর গড়ে ৫ শতাংশ সুস্থ হন। বিগত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে নথিভুক্ত টিবি রোগীর সংখ্যা অন্তত দেড় লক্ষ। এর মধ্যে আবার ৩ শতাংশ রোগী মাঝপথে যে কোনও কারণে চিকিৎসা বন্ধ করেছেন অথবা তাঁদের খোঁজ মিলছে না। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর তাঁদের মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা ধরে যোগাযোগ করেও কোনও খোঁজ পায়নি।
ফলত শঙ্কা যথেষ্টই। যক্ষ্মা অত্যন্ত সংক্রামক ব্যাধি। তাই এই রোগীদের নিয়েই বিশেষজ্ঞদের মাথাব্যথা বেশি। টিবি নোডাল অফিসার ডা. সন্তোষ রায়ের কথায়, ‘‘কলকাতা বাদে সাতটি জেলার যক্ষ্মা রোগীদের বেছে নেওয়া হয়। তাদের দুটি করে বিসিজি টিকা দেওয়া হবে।’’ এই জেলাগুলি হল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা।