এবার হিন্দি আগ্রাসন নিয়ে মুখ খুলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকরের রোষানলে সাকেত গোখলে! তৃণমূল সাংসদের সমালোচনায় মুখর হন তিনি। পরে নিজের কক্ষে ডেকে পাঠানো তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের সঙ্গেও এই নিয়ে চড়া সুরে মতবিনিময় হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভায় জ়িরো আওয়ারে সাকেত অভিযোগ তোলেন সরকার অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষা এবং ইংরেজির পরিবর্তে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া চেষ্টা করছে। তাঁর দাবি, ইংরেজি ব্যবহার করা হোক সরকারি কাজকর্মের জন্য। তিনি বলেন মেঘালয় বিধানসভায় সাম্প্রতিক বাজেট অধিবেশনের গোড়ায় ঘোষণা করা হয় রাজ্যপাল হিন্দিতে বক্তৃতা দেবেন। মেঘালয়ের বিজেপি নেতারাও তাঁকে সমর্থন করেন।
গোখলের কথায়, ‘মেঘালয়ের সরকারি ভাষা ইংরেজি। এটা ঘোরতর ভাবে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। এটা মনে করিয়ে দেওয়া ভাল উত্তর ভারতের বাইরে ভারতের অন্য কোথাও মানুষের মাতৃভাষা হিন্দি নয়।’ এর পরই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনকর বলেন, সংবিধানের ৩৫১ নম্বর অনুচ্ছেদে রয়েছে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হিন্দি ভাষার প্রসার ঘটানো। গোখলে সেই নির্দেশকে অবজ্ঞা করছেন বলে তাঁকে সতর্ক করেন তিনি।
কিছু পরেই ফের ধনকরের রোষের মুখে পড়েন গোখলে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব কোটিপাল্লি-নারাসপুর রেল প্রকল্প সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। গোখলে তার পরিপূরক প্রশ্ন হিসাবে যাত্রী বোঝাই ট্রেনের হাল ফেরাতে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে জানতে চান। এতে কড়া ভাবে রেলমন্ত্রী বলেন, সাংসদের (গোখলে) একটি ‘ওরিয়েন্টেশন কোর্স’ করা উচিত কারণ পরিপূরক প্রশ্ন মূল প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া দরকার। সেটা গোখলে জানেন না।
এই মন্তব্যে রুষ্ট গোখলে প্রতিবাদ জানিয়ে গলা তোলেন। এর পর চেয়ারম্যান তাঁকে কার্যত ভর্ৎসনা করে তাঁর আচরণ ‘আইনবিরোধী’, ‘নিন্দাজনক’ ও ‘অমর্যাদাকর’ বলে তৃণমূলের নেতাকে আহ্বান করেন গোখলেকে সতর্ক করার জন্য। তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায়কে নিজের কক্ষে ডেকেও পাঠান।