কেন্দ্রের সিএজি রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যের আপত্তির কথা যুক্তি সহকারে স্পষ্ট করলেন মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা। শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ওই রিপোর্ট ভুল, রাজ্য সরকার তা মানছে না। পাশাপাশি তিনি সন্দেশখালি প্রসঙ্গেও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। জানান, সন্দেশখালি নিয়ে সরকার যা করার করছে। এদিন এডিজি, আইনশৃঙ্খলাও নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, সন্দেশখালির অশান্তিতে যারা ইন্ধন দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না।
নবান্নে সিএজি রিপোর্ট নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা। কেন্দ্রের পাঠানো সিএজি রিপোর্টে ২০২১ সালে ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার ইউসি (ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) দেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। মুখ্যসচিব জানান, এটা ভুল রিপোর্ট। সরকার এটা মানছে না। তিনি আরও জানান, ‘আটটা দপ্তর নিয়ে আলাদা করে বলা হয়েছে যে এদের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট বাকি আছে। আমরা আটটা দপ্তর কেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলি। শুধু ২০২২ নয়, ২০২১-২০২২ পর্যন্ত সব ইউসি জমা দেওয়া হয়েছে’।
এ বিষয়ে মুখ্যসচিব আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘যখনই কোনও দপ্তর কেন্দ্র থেকে টাকা পায়, তখন সেই টাকা পাওয়ার আগে ইউসি জমা দিতে হয়। জমা না দিলে টাকা পাওয়া যায় না। এই রিপোর্টে প্রায় ২০ বছরের একটা হিসাব দেওয়া হচ্ছে। এতগুলো বছর ধরে যদি ইউসি না দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে এতদিন পরে কেন এটা বলা হল না? এটি ভ্রান্ত রিপোর্ট। আমাদের অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের কাছ থেকে এটা তো জেনে নেওয়া যেত’।
মুখ্যসচিবের আরও ব্যাখ্যা, ‘গত দু বছরের প্রায় ৩৩৪ টি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিদর্শন হয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তরে। আমাদের কাছে এই দল এখনও পর্যন্ত যা জানতে চেয়েছে তার সব উত্তর আমরা দিয়ে দিয়েছি। আমাদের জমা দেওয়া সব ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট আমাদের কাছে আছে’।