লোকসভা নির্বাচনের প্রাকলগ্নে ফের বিতর্কে জড়াল ভারতীয় রেল। গতকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন বিধাননগর রেল স্টেশনের হকাররা। স্টেশনের মধ্যেই রয়েছে অনুমতিহীন একাধিক খাবারের দোকান। সেই সমস্ত দোকান তুলে দিতে চাইছে রেল। এ ব্যাপারে রেলের তরফে বৃহস্পতিবার মাইকিংও করা হয় বলে দাবি দোকানদারদের। বিষয়টি জানতে পারার পরই স্টেশনের হকাররা সকলকে একত্রিত হয়ে পাল্টা আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করছেন। রেলের তরফে অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে রেলের এমন ঘোষণার নেপথ্যে সম্প্রতি রেলের কর্মীদের একটি গাফিলতিকে দায়ী করছেন হকাররা। “রেলের ভুলের খেসারত আমরা কেন দিতে যাব?”, প্রশ্ন তাঁদের।
উক্ত ঘটনার সূত্রপাত, গত ২রা ফেব্রুয়ারি বিধাননগর স্টেশনে একইসঙ্গে আপ দত্তপুকুর লোকাল, বজবজ নৈহাটি, আপ বনগাঁ লোকালের ঘোষণা করা হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে একই সঙ্গে তিনটি ট্রেনের ঘোষণা করার জেরে বিপত্তি ঘটে। তিনটি ট্রেনের যাত্রীরা একজোট হন প্ল্যাটফর্মে। তুমুল হইচই বেঁধে যায়। ভিড়ে ঠেলাঠেলি শুরু হয়ে যায়। অনেকে পড়ে যান। কোন ট্রেন আগে আসবে, কোন ট্রেন পরে, সেই নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে ছোটাছুটি শুরু হয়। সাবওয়েতেও ভিড় জমে যায়। এমন বিশৃঙ্খলময় পরিস্থিতির প্রতিবাদে রেল অবরোধ শুরু করেন যাত্রীরা। বরোধের কারণে আপ এবং ডাউন দু লাইনেই ট্রেন চলাচল থমকে যায়৷ ।হকারদের অভিযোগ, ওই ঘটনার তদন্তে নেমে নিজেদের ভুল ঘোষণার বিষয়টির দিকে নজর না দিয়ে হকারদের বলির পাঁঠা করার চেষ্টা হচ্ছে। সেকারণেই উচ্ছেদের মাইকিং। হকাররা জানিয়েছে, নয় রেল চাকরি দেবে, না হলে স্টেশন থেকে দোকান তুলবেন না তাঁরা। “এই দোকানের রোজগারেরই পরিবারের পাঁচটা পেটের ভাত জোটে। দোকান তুলে দিলে খাব কী?”, উদ্বেগের সুর ধরা পড়েছে জনৈক হকারের গলায়।