আগামিকাল, শনিবার থেকে লক্ষ্মীপুজোয় নেমে পড়তে চলেছে গোটা তৃণমূল। শনিবার সকাল পর্যন্ত থাকবে মৌনী অমাবস্যা। দুপুরের মধ্যে তা কেটে গিয়ে শুক্ল পক্ষ শুরু হয়ে যাবে। তার পরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত ভাতা নিয়ে প্রচারে বেরিয়ে পড়বে ঘাসফুল শিবির। উদ্দেশ্য একটাই, লোকসভা ভোটের আগে বাংলার গ্রামে গ্রামে মহিলাদের কাছে এ খবর পৌঁছে দেওয়া যে মে মাস থেকে তাঁরা বর্ধিত হারে লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকা পাবেন।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে এরই মধ্যে ব্লকে ব্লকে বার্তা গিয়েছে। প্রতিটি ব্লকে অন্তত ৫ হাজার জনকে নিয়ে সেই মিছিল করতে হবে। রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতা দ্বিগুণ করে ৫০০টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তফসিলি জাতি ও জনজাতি মহিলাদের জন্য তা ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০০টাকা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতেই হবে সেই মিছিল। কলকাতায় এই একই উদ্দেশে গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত মহিলা তৃণমূলের কর্মীদের নিয়ে মিছিল করবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার একটি চলতি প্রকল্প। তাই ভোটের মধ্যে এই প্রকল্পে ভাতার পরিমাণ বাড়ালে নির্বাচন কমিশন তা আটকাতে পারবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মে মাসের গোড়ায় এই প্রকল্পের টাকা যখন সরাসরি মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে তার পরেও অন্তত তিন বা চারটি দফার ভোট বাকি থাকবে। আর রাজ্যে মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেকই হল মহিলা ভোটার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ২ কোটি মহিলা ভাতা পান। যার অর্থ মোট বেনিফিশিয়ারি পরিবারের সংখ্যা ২ কোটি। পর্যবেক্ষকদের মতে, একুশের ভোটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প তুরুপের তাস হয়েছিল। তাই আবারও সেই পরীক্ষিত পথেই হাঁটতে চাইছে তৃণমূল।