শুক্রবার সাতসকালে রেল অবরোধ জলপাইগুড়ির কেরারপাড়ায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, আগের মতো নন্দনপুর কেরারপাড়া হল্টে স্টপেজ দিতে হবে লোকাল ট্রেনের। এদিনের বিক্ষোভের জেরে আটকে পড়ে একের পর এক দূরপাল্লার ট্রেন।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির নন্দনপুর কেরারপাড়া হল্ট স্টেশন ছিল। লোকাল ট্রেন দাঁড়াত ওই স্টেশনে। বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার কুড়ি হাজার মানুষ যাতায়াত করতেন ওই স্টেশন থেকে। কিন্তু করোনাকালে বন্ধ হয়ে যায় স্টপেজ। তার পর পেরিয়েছে দীর্ঘদিন। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে জনজীবন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, করোনা কাল পেরলেও ট্রেন আর দাঁড়ায় না হল্ট স্টেশনে। একাধিকবার লিখিত আবেদন করা হলেও কোনও কাজ হয়নি। এর পরই রেল অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটায় শুরু হয় তা।
এর ফলে কোচবিহারের হলদিবাড়ি স্টেশনে আটকে পড়ে ঢাকা-এনজেপিগামী মিতালি এক্সপ্রেস, কলকাতাগামী সুপারফাস্ট। জলপাইগুড়ি বেলাকোবা স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে দার্জিলিং মেল। ফলে প্রবল সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। রেলের আধিকারিক, পুলিশ এবং আরপিএফ কর্মীরা আলোচনার মাধ্যমে অবরোধ তোলার চেষ্টা করেন। তবে বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, লিখিত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত রেল অবরোধ তুলবেন না তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, আগে রেলের আধিকারিকরা মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, আগের মতোই ট্রেন দাঁড়াবে। কিন্তু দাঁড়ায়নি।