আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে আরও এবার হতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। এবার মঞ্চ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। বৃহস্পতিবার ফাইনালে পাকিস্তানকে তারা হারাল ১ উইকেটে। উপভোগ্য ম্যাচ দেখতে পেলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ উইকেটে তারা ১৭ রান তুলে জিতে গেল। ২৪ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচের নায়ক টম স্ট্র্যাকার। এক সময় ১৬৪ রানে ৯ উইকেট পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। বিশ্বকাপ ফাইনাল থেকে পাকিস্তান ছিল মাত্র ১ উইকেট দূরে। সেই সুযোগও কাজে লাগাতে পারল না তারা। ফলে ২০১৭-র পর আইসিসি-র কোনও ইভেন্টে ভারত-পাকিস্তানের ফাইনাল হওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিউ ওয়েবগেন। সেই সিদ্ধান্ত কাজে লাগে। পাকিস্তানের ব্যাটারেরা খেলতেই পারেননি অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের। ২৫ রানে প্রথম উইকেট পড়েন। ফিরে যান শামিল হুসেন। দু’রান পরেই ফিরে যান শাহজাইব খান। এর পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। এক সময় ৭৯ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায় পাকিস্তান। সেখান থেকে দলের পতন রোখেন আজান আওয়াইস এবং আরাফত মিনহাস। দু’জনে মিলে ষষ্ঠ উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়েন।
এররফর দুই ক্রিকেটারই ৫২ রান করে আউট হন। প্রথমে ফেরেন আজান। পরের দিকে টেলএন্ডারদের নিয়ে পাকিস্তানকে টানতে থাকেন। তবে অর্ধশতরানের পরেই ফিরতে হয় তাঁকে। পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৭৯ রানে। ভাল বল করেন স্ট্র্যাকার। পাকিস্তানের টপ অর্ডারকে একার হাতেই ধসিয়ে দেন তিনি। পরের স্পেলে এসে টেল এন্ডারদের ফিরিয়ে দেন। পাকিস্তানের মতোই ব্যাটিং ধসের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়াও। ওপেনার স্যাম কোনস্টাস ১৪ রানে ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ধস নামে। অপর ওপেনার হ্যারি ডিক্সনের সঙ্গে জুটি গড়েন অলিভার পিক। দু’জনে ৪৩ রান যোগ করেন পঞ্চম উইকেটে। এর পর টম ক্যাম্পবেলের (২৫) সঙ্গে পিকের ৪৪ রানের জুটি অস্ট্রেলিয়াকে অনেকটা এগিয়ে দেয়। তবে পিক আউট হতেই বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দলকে জেতানোর মতো আর কেউ ছিলেন না। আলি রাজার দাপটে ১৬৪ রানে অস্ট্রেলিয়ার ৯ উইকেট পড়ে যায়। জয়ের গন্ধ তখন পেতে শুরু করেছে পাকিস্তান। শেষপর্যন্ত রাফ ম্যাকমিলান ২৯ বলে তাঁর ১৯ রানের মহামূল্যবান ইনিংস খেলে জয় এনে দেন অস্ট্রেলিয়াকে।
