জমি অধিগ্রহণ করা হলেও কৃষকদের কম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে অন্যান্য আশ্বাসও পূরণ করা হয়নি। যার জেরে গত ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডার কৃষকরা। তাঁরা ঘোষণা করেছিলেন, ট্রাক্টর ও অন্যান্য যানবাহনে চড়ে তারা সংসদ ভবন যাবেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁরা জড়ো হবেন মহামায়া ফ্লাইওভারের কাছে। সেখান থেকে তাঁরা মিছিল করে যাবেন সংসদভবন। সেই মতো বৃহস্পতিবার ট্রাক্টর নিয়েই সীমানায় হাজির হয়ে যান কৃষকরা। আর তা নিয়েই ধুন্ধুমার কাণ্ড হল দিল্লি সীমানায়।
প্রসঙ্গত, গতকাল, আন্দোলনকারী কৃষকদের দেখেই মুহূর্তে ‘সিল’ করে দেওয়া হয় পুরো সীমানা। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। যদিও ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। চাপের মুখে সুর নরম করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। যাবতীয় ইস্যু নিয়ে শীঘ্রই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। প্রতিশ্রুতি পেয়ে সীমানা অবরোধ মুক্ত করেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। যদিও তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দাবি না মেটা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে তাঁদের অবস্থান চলবেই। উল্লেখ্য, বছর তিনেক আগে কেন্দ্রের ‘বিতর্কিত’ তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন কৃষকরা। তা নিয়ে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দিল্লির সীমানায়।