জিএসটি পদ্ধতি চালুর পর থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে রাজ্যগুলি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পর্যন্ত আয় না করতে পারলে কেন্দ্রীয় সরকার তার ক্ষতিপূরণ দেবে। অবশ্য এর জন্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের আয় এবং আসল উপার্জনের ফারাকের প্রমাণ স্বরূপ এজির সার্টিফিকেট লাগবে। সেই সার্টিফিকেট দিলে তবেই কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে। এই আবহে সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ অভিযোগ করেছেন, বিগত সময়ে ৪ বছরের এজি সার্টিফিকেট জমা দেয়নি বাংলা। যদিও তার পালটা দিয়েছে রাজ্য।
রাজ্যের অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর দাবি, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এই সময়কালের জিএসটি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য যাবতীয় তথ্য কেন্দ্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন চন্দ্রিমা। তাঁর কথায়, ‘আমরা আমাদের তরফ থেকে সব তথ্যই পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন সেটা কেন্দ্রীয় সরকার খতিয়ে দেখবে। তাদের এজি সেই নথি খতিয়ে দেখে অর্থ মন্ত্রককে তা পাঠিয়েছে কি না, সেটা আমরা তো জানি না। এই আবহে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য কী ভাবে লোকসভায় দাঁড়িয়ে বলা হয়?’