রাজনৈতিক বিরোধিতা উপেক্ষা করে রাজ্যে জাতিগত সমীক্ষা করতে সফল হয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। যদিও সেই সময় তিনি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মূলত, অবস্থা অনুযায়ী জাতিগত সংরক্ষণে স্বচ্ছতার জন্যই এই সমীক্ষা বলে মনে করা হয়েছিল। এবার বিহারের পার্শ্ববর্তী রাজ্য, ঝাড়খণ্ড থেকে রাহুল গান্ধীর ঘোষণা, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় ফিরলে জাতিভিত্তিক সংরক্ষণ ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হবে।
সংসদে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার প্রাক্কালে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা-র সমাবেশ থেকে জাতিগত সমীক্ষা ও উপজাতিদের অধিকারের প্রসঙ্গ তুলে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দাগেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘জাতিগত সমীক্ষা, ওবিসি, দলিত ও উপজাতিদের অধিকারের দাবি উঠলেই বলা হয়, কোনও পৃথক জাতি নেই। আর ভোটের সময় এলেই জাতির কথা উঠে আসে’।
দলিত, ওবিসি, উপজাতিরা ন্যায্য অধিকার পাচ্ছে না বলেও তোপ দাগেন রাহুল গান্ধী। তিনি জানান তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসিদের সঙ্গে বহু যুগ ধরে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের মতো ব্যবহার করা হয়। দেশের বড় শিল্পসংস্থা, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ এবং আদালতে এখনও তাঁদের প্রতিনিধিত্ব কম বলে দাবি রাহুলের। এরপরই গ্যারান্টি দিয়ে রাগা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় এলে সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষেরা তাদের ন্যায্য অধিকার পাবে। সংখ্যানুপাতে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে তাঁদের জন্য ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ চালু করব’। এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।