মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই নাম না করে ভারতকে বার্তা দিয়েছিলেন মহম্মদ মুইজ্জু। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, আইন মেনে মলদ্বীপ থেকে সমস্ত বিদেশি সেনা সরিয়ে দেওয়া হবে। আর তার পরে একটি সাক্ষাৎকারে মুইজ্জু সরাসরি ভারতের নাম করে বলেন, মলদ্বীপ ছাড়তে হবে ভারতীয় সেনাকে। এজন্য ডেডলাইনও বেঁধে দেন তিনি। এমনকী প্রকাশ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু-সহ মলদ্বীপ সরকারের তিন মন্ত্রী। এই আবহে ভারত ও মলদ্বীপের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের মেরামতি করতে হলে অবিলম্বে মোদীর কাছে মুইজ্জুর নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে সম্প্রতি প্রকাশ্যে দাবি জানিয়েছিলেন মলদ্বীপের বিরোধী দলনেতা জুমহুরি পার্টির(জেপি) কাসিম ইব্রাহির। যদিও চিনপন্থী মুইজ্জুর বিশেষ কোনও বদল ঘটেনি বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।
সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তৈরি হওয়া জট কাটাতে শুক্রবার দিল্লিতে বৈঠকে বসে ভারত ও মলদ্বীপের প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, বৈঠকে দু’পক্ষ জানায় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে রাজি। এ ব্যাপারে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বৈঠকে দু’পক্ষই ভারতীয় বিমান প্ল্যাটফর্ম, যা মলদ্বীপকে মানবিক ও চিকিৎসা পরিষেবা দেয়, তা নিয়ে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে রাজি হয়েছে।’ যদিও ওই বৈঠকের কিছু পরেই মলদ্বীপ সরকারের তরফে পাল্টা বিবৃতিতে জানানো হয়, আগামী ১০ মে-র মধ্যে মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করা হবে। অর্থাৎ ভারতের উল্টো সুরই শুনিয়েছে মলদ্বীপ। ফলে প্রতিবেশী এই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উন্নতির সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে।