এবার মলদ্বীপের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল পাকিস্তান। অতিসম্প্রতি ভারতের বাজেটে মলদ্বীপকে সাহায্যের বরাদ্দে কিছুটা কাটছাঁট করা হয়েছে। তার ঠিক পরের দিনই ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর ফোন গেল মলদ্বীপে। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান আনওয়ার উল হক কাকর মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুকে ফোন করেছিলেন। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ কথা হয়েছে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে জোরদার করতে আলোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সূত্রের খবর, মলদ্বীপকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন, দেশটির উন্নয়নের প্রয়োজনে অর্থসাহায্য করবে পাকিস্তানও। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে একটি বিবৃতি জারি করে পাক প্রধানের আশ্বাসের কথা জানানো হয়েছে। কী ভাবে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা যায়, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মলদ্বীপের প্রয়োজনে মুইজ্জু পাকিস্তানকে পাশে পাবে বলেই জানিয়েছেন আনওয়ার।
প্রসঙ্গত, ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে মলদ্বীপ যে সমস্ত পদক্ষেপ করছে, তাকেও সমর্থন করেছে পাকিস্তান। প্রেসিডেন্টের দফতরের বিবৃতিতে দাবি তেমনটাই। ১৯৬৬ সালের ২৬শে জুলাই পাকিস্তানের সঙ্গে মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। দু’টি দেশই আপাতত চিনের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। পাকিস্তান এবং মলদ্বীপকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করে চিন। মলদ্বীপে সম্প্রতি যে প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় এসেছেন, সেই মুইজ্জু চিনপন্থী। ক্ষমতায় আসার পরে তিনি চিন থেকে ঘুরেও এসেছেন। মলদ্বীপের মাটি থেকে ভারতকে সেনা সরিয়ে নিতে বলেছেন মুইজ্জু। বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ সালের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানে দেখা গিয়েছে, মলদ্বীপকে যে পরিমাণ সাহায্য করত ভারত, এ বছর তাতে কিছু কাটছাঁট করা হচ্ছে। আগের বছরের তুলনায় ২২ শতাংশ কমানো হয়েছে মলদ্বীপের জন্য বরাদ্দ অর্থ। ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে মলদ্বীপের জন্য ৭৭০.৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল ভারত। ২০২৪-২৫ সালের অন্তর্বর্তী বাজেটে ওই অর্থের পরিমাণ কমে ৬০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।