শীঘ্রই তাদের জেলায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই খবর কানে আসতেই নিজের আঁকা ছবি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবে বলে স্বপ্ন দেখেছিল মেয়েটি। নিজের হাতে আঁকা ছবি নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে হাজিরও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তাঁর কাছে প্রথমে পৌঁছতে পারেনি। তবে হাত নেড়ে ডাকার চেষ্টা করা খুদেকে নজর এড়ায়নি মমতার। দেখা মাত্রই কাছে ডেকে নেন তিনি। এরপরেই নিজের আঁকা সেই ছবি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয় খুদে। তাঁর কপালে স্নেহচুম্বন দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট সার্কিট হাউস থেকে বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ মালদহের উদ্দেশে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী। বাইরে তখন উপস্থিত বালুরঘাট পুরসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেখান থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছাবার্তা দেন। এর পর পাশেই পুলিশ লাইন মাঠের হেলিপ্যাডে পায়ে হেঁটেই রওনা দেন। তবে হেলিকপ্টারে ওঠার আগে তিনি লক্ষ্য করেন তাঁকে হাত দেখিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করছে এক খুদে। এরপরই তাঁকে ডেকে নেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। নিজের হাতে আঁকা ছবি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয় সে। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করে। দু’হাত তুলে তাকে আশীর্বাদ করেন মমতাও। কপালে এঁকে দেন স্নেহচুম্বন। এর পরই কপ্টারে চড়ে মালদহের উদ্দেশে রওনা দেন।
জানা গিয়েছে, ওই খুদের নাম স্নেহা রায়। বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সে। স্নেহা জানায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী আসছেন শুনেছিলাম। গত তিনদিন ধরে তাঁর একটি ছবি এঁকেছি। ছবি নিজে হাতে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়ায় ইচ্ছা ছিল। কিন্ত তাঁর কাছে যাওয়ার উপায় ছিল না। ফলে দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার হাতছানি দেখে কাছে ডেকে নেন। এটা স্বপ্নের মতো। ছবি নিয়ে খুব ভাল হয়েছে বলে আমাকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছবিও নিয়েছি। সারাজীবন মনে রাখব আমি।’ মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশীর্বাদ করেছেন, এটাই বড় পাওনা বলেই জানান স্নেহার মা দীপিকা রায়। মুখ্যমন্ত্রী স্নেহাকে চকোলেট, স্কুল ব্যাগ এবং একটি টেডি বিয়ারও উপহার দিয়েছেন।