হেমন্ত সোরেনকে দিয়েই শেষ হচ্ছে না ইডি, সিবিআইয়ের অভিযান। ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, আরও অন্তত হাফ ডজন নেতা লোকসভা ভোটের আগে বিপাকে পড়তে পারেন।
এই তালিকায় আছেন তেলেঙ্গানার সদ্য নিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি, কেরালার পিনারাই বিজয়ন, দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, বিহারে লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর পুত্র তেজস্বী প্রমুখ।
১৯৯৭ সালে লালু প্রসাদের পর হেমন্ত সরেন হলেন দ্বিতীয় নেতা যাঁকে কার্যত মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়েছে। পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় লালু প্রসাদকে তবু আদালতে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর আগে তিনি স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে মুখ্যমন্ত্রী করে দেন। হেমন্তকে ইডি আগেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। তদন্তকারীদের হেফাজতে থাকাকালে তিনি পদত্যাগ করেন। এমন ঘটনা নজিরবিহীন। আপ নেতৃত্বের আশঙ্কা এরপর একই পরিণতি হতে পারে কেজরিওয়ালেরও। হেমন্তের মতো তিনিও বারে বারে ইডির তলব এড়িয়ে চলেছেন।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধী ঐক্য এবং জোট রক্ষা নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মলিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসেন সোনিয়া গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরি, ডিএমকে নেতা টিআর বালু প্রমুখ। ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেন রাহুল গান্ধী।