ইডি-র হাতে গ্রেফতারির ঠিক আগেই বুধবার সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেন হেমন্ত সোরেন। দিল্লিতে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে নগদ ৩৬ লক্ষ টাকা ও একটি বিলাসবহুল গাড়ি। মুখ্যমন্ত্রী পদে হেমন্ত সোরেন ইস্তফা দেওয়ার পরই ঘোষণা করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রীর নাম।
হেমন্তের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার তরফে বেছে নেওয়া হয়েছে চম্পাই সোরেনকে। হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। রাতেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। কৃষক পরিবারের সন্তান চম্পাই সোরেনকে ঝাড়খণ্ডের ‘টাইগার’ বলেও চিহ্নিত করা হয়।
চম্পাই সোরেনের বাবা সিমাল সোরেন ছিলেন একজন কৃষক। সরাইকেলা-খারসাওয়ান জেলার জিলিংগোড়া গ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। চম্পাইয়ের জীবনে রাজনীতি আসে পরে, তার আগে বাবার সঙ্গে চাষবাস করতেন তিনি। সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করতেন। দশম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করা হয়নি চম্পাই সোরেনের। খুব কম বয়সেই বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। রয়েছেন তাঁর চার সন্তান।
৯০-এর দশকের শেষের দিকে রাজনীতিতে পা রাখেন চম্পাই সোরেন। ঝাড়খণ্ডের আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আর রাজনৈতিক জীবনে পাকাপাকিভাবে প্রবেশ করেন বিধায়ক হয়ে। সরাইকেলা আসন থেকে নির্দল হিসেবে লড়াই করে বিধায়ক হয়েছিলেন চম্পাই। ঝাড়খণ্ডের মানুষ তাঁকে তখন থেকেই টাইগার বলে সম্বোধন করতে থাকেন।