সামনেই সংসদের বাজেট অধিবেশন। তার আগে মঙ্গলবার বসেছিল সর্বদল বৈঠকের আসর। আর সেখানেই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বাংলার বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রকে চেপে ধরল তৃণমূল। দলের তরফে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সুখেন্দুশেখর রায় এ নিয়ে সুর চড়ান। সুদীপের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাকে অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করছে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা হচ্ছে। দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো শেষ হয়ে গিয়েছে এই সরকারের আমলে।
বৈঠকে সুদীপ জানান, এই মুহূর্তে মনরেগা খাতে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়ার পরিমাণ ১ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি টাকা। শুধুমাত্র ১০০ দিনের কাজেই বাংলার বকেয়া ৮ হাজার কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী দলীয় সাংসদের সাথে নিয়ে নিজে এসে সাক্ষাৎ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তখন প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, দুই পক্ষের সচিবরা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী বলতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অবস্থান সত্যাগ্রহে বসবেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, এই মুহূর্তে দেশের বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা না করে প্রায় ১৫০ জন সংসদকে সাসপেন্ড করে নিজেদের ইচ্ছামত বিল পাশ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই একনায়কতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে তাদের হুঁশিয়ারি, ফেব্রুয়ারির ভোট অন অ্যাকাউন্টে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যেন মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো জ্বলন্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। অন্যথা তাঁদের আবার আন্দোলনে নামতে হবে।
এদিকে গত কয়েকবারের মতো এবারও সর্বদল বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর পরিবর্তে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এবং অর্জুন রাম মেঘওয়াল বৈঠকে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, রাষ্ট্রপতির ভাষণ এবং অর্থমন্ত্রীর ভাষণের উপর বিতর্কের সময় কত? যদিও তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।